বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নানকের পিও বিপ্লবও লুটপাটে বিপ্লব ঘটিয়েছে,মামলার সিদ্ধান্ত দুদকের

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:০২ পিএম

নানকের পিও বিপ্লবও লুটপাটে বিপ্লব ঘটিয়েছে,মামলার সিদ্ধান্ত দুদকের

আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানকের আশ্রয়ে থেকে পিও বিপ্লব লুটপাটের বিপ্লব ঘটিয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং অপরাধে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই ব্যক্তিগত সহকারী বা পিও মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ মামলার সর্বশেষ তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি।
গত ২৩ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লবের নামে ১ কোটি ৬ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। যেখানে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৩ টাকার সম্পদ রয়েছে। অনুসন্ধানে আয়কর নথিসহ অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে তার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৭১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭৯ টাকা। ব্যয় ও ও অর্জিত সম্পদ বিবেচনায় নিলে মোট ২ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭২ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। যার বিপরীতে দুদক বৈধ উৎস পেয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৩ টাকার। অর্থাৎ অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৬৮ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৯ টাকা।
অন্যদিকে মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এম আর এন্টারপ্রাইজের নামে এনআরবিসি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখায় তিনটি ব্যাংক হিসাবে সন্ধান মিলেছে। যেখানে এনআরবিসি ব্যাংকে ৪১ লাখ ১৭ হাজার ৫৯১ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকে ২ কোটি ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪০২ এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৯ টাকা জমা হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার পুরো টাকাই ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। লেনদেন হিসাব করলে ৩ ব্যাংক হিসাবে সাবেক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী বিপ্লব প্রায় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদন করেছেন। দায়িত্বপালনকালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ অস্বাভাবিক লেনদেন বলে মনে করছে দুদক।
তার বিরুদ্ধ দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। শিগগিরই দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।ছবি-সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!