রাফার অধিবাসীদের স্থানান্তর যুদ্ধাপরাধের শামিল: ম্যাক্রোঁ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রায় সকল অঞ্চলে ধ্বংসলীলা চালিয়ে ইসরায়েলের নজর এখন রাফাহ শহরের দিকে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ গাজার এই শহরটিতে হামলার অনুমতি দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
এমন অবস্থায় রাফাহতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, রাফাহ থেকে জোর করে মানুষকে স্থানান্তর করা হলে তা হবে ‘যুদ্ধাপরাধ’। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহর থেকে লোকদের জোরপূর্বক অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে সেটিকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে গণ্য করা হবে বলে রবিবার ইসরায়লের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এসময় তিনি রাফায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের বিষয়ে তার বিরোধিতার পুনরাবৃত্তি করেন। মূলত টানা ৬ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে গাজার বেশিরভাগ মানুষ এই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।
এএফপি বলছে, রবিবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আর সেখানেই তাকে এসব কথা জানিয়ে দেন ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট। এছাড়া এই টেলিফোন কলে নতুন বসতি স্থাপনের জন্য অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৮০০ হেক্টর জমি দখলে গত শুক্রবার ইসরায়েলের দেয়া ঘোষণার ‘কঠোর নিন্দা’ জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ।
ফোনকলে ম্যাক্রোঁ নেতানিয়াহুকে বলেন, তিনি ‘অবিলম্বে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব আনতে চান। একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় সমস্ত ক্রসিং পয়েন্ট খুলে দেয়ার আহ্বান জানান।
অবশ্য রাফায় ইসরায়েলের পরিকল্পিত স্থল আক্রমণ তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হয়েছে এবং এই হামলা ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের কারণ হবে এবং মানবিক সংকটকে আরও খারাপ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। তবে, ইসরায়েল জোর দিয়ে বলেছে, হামাসকে ধ্বংস করার জন্য এই অভিযান চালানো প্রয়োজন।
অবশ্য ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফায় হামলার অনুমোদন ইতোমধ্যেই দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত ১৫ মার্চ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্থবা ধ্বংস হয়ে গেছে।