ইউক্রেনের সঙ্গে টানা তৃতীয় দিনের মতো আলোচনায় বসছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মায়ামিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একটি বিষয়ে উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে, যুদ্ধের অবসানে রাশিয়ার সদিচ্ছার ওপরই ‘বাস্তব অগ্রগতি’ নির্ভর করবে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনের শীর্ষ আলোচক রুস্তেম উমেরভ ও কিয়েভের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি হ্নাতভের সঙ্গে এই বৈঠক করছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) উইটকফ ও কুশনার মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে মস্কো সেই প্রস্তাবের কিছু বিষয় প্রত্যাখ্যান করে।
গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) উইটকফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে মায়ামি আলোচনা সম্পর্কিত একটি বিবৃতিতে বলেন, যেকোনো চুক্তির দিকে বাস্তব অগ্রগতি রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী শান্তির প্রতি গুরুতর প্রতিশ্রæতি দেখানোর ওপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস ও হত্যা বন্ধের পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত।
মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাঠামো নিয়েও একমত হয়েছেন ও একটি স্থায়ী শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ২৮ দফা পরিকল্পনার খসড়া প্রকাশ করেন ট্রাম্প। পরিকল্পনাটি প্রথম প্রকাশের পর থেকেই কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়েছিল। অনেকে বলছেন, এটি রাশিয়ার প্রতি বেশি নমনীয়। এরপর উইটকফ ও কুশনার পুতিনকে বোঝাতে মস্কো গেলেও কোনো চুক্তি ছাড়াই ফিরে আসেন।
তবে ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ মস্কোর পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকটিকে ‘আন্তরিকতাপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, পুতিন ও উইটকফের মধ্যে ‘জেনুইনলি ফ্রেন্ডলি কথোপকথন’ হয়েছে এবং তারা একে অপরকে পুরোপুরি বোঝেন।
গতকাল ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, কূটনৈতিক প্রক্রিয়া বেশিরভাগই পর্দার আড়ালে ঘটে। ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চায় এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র একটি বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়ায় দ্রæত যুদ্ধের সমাপ্তি চায়, উভয় পক্ষের কাছ থেকে আপসের প্রত্যাশা করে।ছবি-সংগৃহীত

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :