ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গোলাবর্ষণ করেছে করেছে পাকিস্তান। এতে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে সৈনিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী।ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ কোর এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামোর ওপর ভারতের হামলার পর ক্রমাগত গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে প্রতিপক্ষরা। এতে ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দিনেশ কুমার নিহত হয়েছেন। হোয়াইট নাইট কোরের জিওসি এবং সমস্ত র্যাঙ্কের সদস্যরা তার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে সালাম জানায়।আরও বলা হয়, দিনেশ ৭ মে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে প্রাণ হারান। আমরা পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানাই। সেনাবাহিনী ভুক্তভোগীদের পাশে আছে।
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানের তীব্র আর্টিলারি হামলার পুরোপুরি সমাপ্তের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়েছে বলে জানায় দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এ দিন গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন।
ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী গোলাবর্ষণের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের হামলার পর থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ছোট অস্ত্রের গুলি বিনিময় শুরু হয়। বেলা গড়ালে তা ভারী আর্টিলারি যুদ্ধে রূপ নেয়। পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণা ঘাটি,শাহপুর এবং মানকোটে এবং রাজৌরির লাম, মঞ্জাকোট এবং গম্ভীর ব্রাহ্মণায় গোলাবর্ষণ সবচেয়ে তীব্র ছিল।
পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার আকাশে ড্রোন শনাক্ত করে ভূপাতিত করেছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৪৪ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেটি গুজরাট জেলার ডিঙ্গা এলাকার একটি মাঠে গিয়ে পড়ে এমনটি নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই। ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখার জন্য নেওয়া হচ্ছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা প্রথমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এবং পরে আকাশ থেকে ড্রোনটি পড়ে যেতে দেখেন। এতে আশপাশের এলাকাজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :