মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

খামেনির পতন ঘটিয়ে ইরানকে এবার মহান করতে চান ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম

খামেনির পতন ঘটিয়ে ইরানকে এবার মহান করতে চান ট্রাম্প

ইরানে মার্কিন বোমা হামলার এক দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়েছেন।সেখানে তিনি লিখেছেন,বর্তমান ইরানি শাসকগোষ্ঠী যদি ‘ইরানকে আবারও মহান’ করতে না পারে, তবে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতেই পারে। পোস্টের শেষাংশে তিনি লেখেন,এটি ‘মেক ইরান গ্রেট অ্যাগেইন’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ,যা ট্রাম্পের প্রচলিত মাগা (মেক আমেরিকা গেট অ্যাগেইন) স্লোগানের অনুরূপ।
তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্য তাঁর প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ,তাঁর প্রশাসনের সবাই বলছেন, ইরানে মার্কিন হামলার লক্ষ্য শাসন পরিবর্তন নয়, বরং শুধু পারমাণবিক হুমকি নিরসন।
২২জুন রোববার সকালে এক ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন,‘এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, জাতীয় স্বার্থে ইরানি পারমাণবিক হুমকি দূর করা এবং আমাদের মিত্র ইসরায়েল ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ আত্মরক্ষায় সহায়তা।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স মার্কিন টিভি চ্যানেল এনবিসিকে বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শুধু তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করেছি।’ তিনি আরও বলেন, এই হামলা থেমে যাওয়া আলোচনাকে আবার চালু করার একটি সুযোগ তৈরি করেছে।
১৭ জুন ট্রাম্প একটি পোস্টে লেখেন,ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় আছেন, তা যুক্তরাষ্ট্র জানে এবং ‘তাঁকে এখনই হত্যা করা সম্ভব’। গত শনিবারের হামলার পর ট্রাম্প আবার সতর্ক করে বলেন, ইরান যদি পাল্টা প্রতিশোধ নেয়, তবে আজ রাতে যা দেখেছেন, তারচেয়েও ভয়াবহ হামলা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮৬ বছর বয়সী খামেনি বর্তমানে একটি বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রয়োজনে কে উত্তরসূরি হবেন, তা-ও তিনি নির্ধারণ করে রেখেছেন।
যদিও ট্রাম্প সরাসরি শাসন পরিবর্তনের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন,‘আমি ইরানি শাসকদের পছন্দ করি না, তবে আমরা শাসন পরিবর্তনের পথে নেই। আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’ তিনি সতর্ক করে বলেন,
ইরান যদি পারমাণবিক শক্তি অর্জনে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ থাকে, তবে সেটি তাদের শাসনব্যবস্থার পতনের পথ প্রশস্ত করবে।ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষপর্যায়ে এখনো ইরানের শাসন পরিবর্তন নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেই। তবে ট্রাম্পের ভাষ্য ও আগ্রাসী অবস্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে,পরোক্ষভাবে হলেও ইরানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কথা ভাবছে ওয়াশিংটন।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!