মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানের ওপর মার্কিন হামলার বিরুদ্ধে উপসাগরীয় দেশগুলো

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম

ইরানের ওপর মার্কিন হামলার বিরুদ্ধে উপসাগরীয় দেশগুলো


উপসাগরীয় রাজতান্ত্রিক সরকারগুলো ইরানের হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণ করার জন্য তাদের ভূখন্ডে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে না ওয়াশিংটনকে। মিডল ইস্ট আইকে সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় মিত্ররা তাদের দেশের অভ্যন্তরের ঘাঁটি থেকে তেহরান বা এর প্রক্সিদের বিরুদ্ধে হামলা ঠেকাতে কাজ করছে।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং কুয়েত সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালালে তারা মার্কিন যুদ্ধবিমানকে তাদের আকাশসীমার ওপর দিয়ে উড়তে দেবে না। 
যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে উপসাগরীয় সামরিক ঘাঁটিতে বিনিয়োগ করেছে। ইরানের কাছাকাছি হওয়ার কারণে এসব বিমানঘাঁটি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক লঞ্চিং প্যাড।বর্তমান এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের এই অনীহা ইরানের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের প্রস্তুতিকে জটিল করে তুলছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। বেশিরভাগই তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোতে অবস্থিত। সেখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বিমান ও নৌ ঘাঁটি। সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭৮তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইংয়ের অবস্থান যেখানে এফ-১৬ এবং এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান মোতায়েন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ধফরা বিমানঘাঁটি থেকে এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন এবং জঙ্গিবিমান পরিচালনা করে থাকে। কুয়েতের আলি আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮৬তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইংয়ের অবস্থান। কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের আঞ্চলিক সদর দপ্তর। দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইনে প্রায় ৯ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে যারা মার্কিন নৌবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এবং মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের সদর দপ্তরের অন্তর্গত। 
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে অংশ নেবে না জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন।মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকো গত ফেব্রæয়ারিতে জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত তার বিমান ঘাঁটি থেকে ইরানের প্রক্সিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো বন্ধ করে দিয়েছে।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!