সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পানি থেকে ডলারভর্তি ব্যাগ তুলে নিলো সোমালিয়ার দস্যুরা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ১০:৪০ এএম

পানি থেকে ডলারভর্তি ব্যাগ তুলে নিলো সোমালিয়ার দস্যুরা


পানি থেকে ডলারভর্তি ব্যাগ তুলে নিয়ে ২৩ নাবিকসহ জাহাজ ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছে সোমালিয়ার দস্যুরা। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার ৩২ দিন পর অবশেষে ডলারের বস্তা পেয়ে মুক্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পরই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকে।‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজ উদ্ধারে কীভাবে মুক্তিপণের অর্থ সোমালিয়ান দস্যুদের হাতে পৌঁছেছে তা ডেকে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন নাবিকেরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক নাবিক তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, জাহাজের পাশে আগে থেকেই স্পিডবোটে করে অপেক্ষায় ছিল দস্যুরা। ছোট উড়োজাহাজ থেকে জাহাজের পাশে ডলারভর্তি ব্যাগ ফেলা হয়। ডলারভর্তি ব্যাগ পানি থেকে সংগ্রহ করে দস্যুরা। এরপর প্রায় আট ঘণ্টা পর গভীর রাতে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে মুক্তিপণের অর্থ পেলেও দস্যুরা তাৎক্ষণিকভাবে জাহাজ থেকে নেমে যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, জলে-স্থলে নজরদারি এড়াতেই গভীর রাতে দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। মুক্তিপণের অর্থ পরিশোধের সময় জিম্মি জাহাজটির অদূরে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। আবার স্থলভাগে ছিল সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশের টহল।
জিম্মি জাহাজ মুক্ত হওয়ার পর জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রæপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‍‍`অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।‍‍`

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!