ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী আলী জাফারিয়ান জানিয়েছেন,ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতি হলে সৃষ্ট বিকিরণজনিত ক্ষয়ক্ষতির শিকারদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো পর্যন্ত ইসরায়েল কোনো অনানুষ্ঠানিক বা অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে কোনো প্রতিবেদন পাইনি। তবে যদি পারমাণবিক চুল্লিগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় এবং সেখান থেকে কোনো ধরণের বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ে,তাহলে তার মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি। যদিও আমরা আশাবাদী যে পরিস্থিতি সেই স্তরে পৌঁছাবে না।’
জাফারিয়ান আরও জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি হাসপাতাল ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে এবং কেরমানশাহ হাসপাতাল সম্পূর্ণরূপে খালি করে ফেলা হয়েছে।‘এই সবই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত ইসরায়েলকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গত দেড় বছরে গাজায় তারা কিছুই করতে পারেনি, তাই আমরা খুব বেশি প্রত্যাশা করি না।’ তিনি আরও নিশ্চিত করেন, ‘গত আট দিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৩,৫০০-রও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।’
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত ৪০০, আহত ৩০৫৬ জন হয়েছেন জানিয়েছেন ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন সম্পর্ক বিভাগের প্রধান হোসেন কেরমানপুর ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে একটি হালনাগাদ তথ্য দিয়েছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, গত নয় দিনের হামলায় ৪০০-এর বেশি ইরানি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৪ জন নারী ও শিশু রয়েছেন। এ ছাড়া, আরও ৩ হাজার ৫৬ জন আহত হয়েছেন।
কেরমানপুর আরও যোগ করেন যে, নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ২ হাজার ২২০ জনকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এবং ২৩২ জনকে হামলার ঘটনাস্থলেই বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, সারা দেশে মেডিকেল টিম ৪৫৭টি অস্ত্রোপচার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :