গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে এবার ৪৫ জনকে হত্যার পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি রোববার (২০ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় দুই ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার পর চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে দক্ষিণ গাজাসহ অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি এলাকায় অনেকগুলো বিমান হামলা চালানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
তারা আরও জানায়, হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা একটি অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে দুই সৈন্যকে হত্যা করে। এর পরপরই ইসরায়েল গাজাজুড়ে হামাসের টানেল, অস্ত্রাগার, ফিল্ড কমান্ডারসহ একাধিক লক্ষ্যবস্তুত বিমান হামলা চালায়।
এ হামলায় গাজার আল-জাওয়াইদা শহরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র অভিজাত শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের অন্তত ছয় সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ব্রিগেডের জাবালিয়া ব্যাটিলিয়নের কমান্ডার ইয়াহিয়া আল-মাবহুহও রয়েছেন।
ইসরায়েলি এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের পর সোমবার থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় পাঠানো শুরু হবে। এর আগে, যুদ্ধবিরতি ‘স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন’ করার অভিযোগ তুলে ইসরায়েল গাজায় সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে এবং রাফাহ এলাকায় সংঘর্ষ সম্পর্কে অবগত নয়।
অন্যদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, হামাসের প্রায় ৪০টি পৃথক সেল রয়েছে, যাদের অনেকেই এখনো নিরস্ত্র হয়নি। তিনি বলেন, “কিছু সেল হয়তো যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, কিন্তু অনেকেই তা করবে না”।
ভ্যান্সের মতে, হামাসকে নিরস্ত্র করতে হলে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকেই মাঠে নেমে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন,হামাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে সামরিক বাহিনীকে ‘দৃঢ়ভাবে’প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপনার মতামত লিখুন :