মার্কিন বোমা হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাটিঁগুলোতে ইরানের হামলার হুমকী প্রদানের পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থার পরিবেশ বিরাজ করছে। আতঙ্কও বাড়ছে। এরমধ্যেই ইরাকের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যে দেশটির ইমাম আলী,বালাদ ও তাজি সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলার খবরও পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে ইরাকের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।আল সুমারিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের ধি কার প্রদেশে অবস্থিত ইমাম আলী সামরিক ঘাঁটির রাডার সিস্টেম হামলা চালানো হয়েছে। ঘাঁটিটি প্রাদেশিক রাজধানী নাসিরিয়া শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।কে এই হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
এছাড়া রাজধানী বাগদাদের উত্তরে সালাহউদ্দিন প্রদেশে অবস্থিত বালাদ সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে বলে কুর্দিস্তান২৪ চ্যানেল জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।ইরানের তাসনিম বার্তাসংস্থা জানায়, ঘাঁটির ভেতরে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একসময় এটি ছিল ইরাকে মার্কিন বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘাঁটি।ইরাকের সরকারি বার্তা সংস্থা আইএনএ জানায়, বাগদাদের উত্তরে অবস্থিত তাজি সামরিক ঘাঁটিতে একটি অজ্ঞাত ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্বতন্ত্র অনুসন্ধানধর্মী সংবাদমাধ্যম দ্য ড্রপ সাইট এই হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
এছাড়া ইরানের তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত ভিক্টরি বেজ কমপ্লেক্সে ড্রোন হামলা হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। এই স্থাপনাটিতে একসময় মার্কিন সেনারা অবস্থান করত।এদিকে একের পর এক হামলার ঘটনায় ইরাকে মার্কিন উপস্থিতি ও যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য এখনো কোনো পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আপনার মতামত লিখুন :