ইরানের হামলার আশঙ্কায় শনিবার ভোর থেকে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আছে ইসরায়েল। ইহুদিবাদী দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র আগেই তেলআবিবকে শতর্ক করেছিল, ইনার শুক্রবার গভীর রাতে অথবা শনিবার ভোরে হামলা চালাতে পারে।এ কারণে শুক্রবার রাতটি গভীর উৎকণ্ঠায় কেটেছে ইসরায়েলের। তবে শুক্রবার নিরাপদে কাটালেও শনিবার ভোর থেকেই হামলার শঙ্কায় তটস্থ গোটা ইসরায়েল। খবর: টাইমস অব ইসরায়েলের। ইরানের ভয়ে চরম উদ্বেগের মধ্যে আছে ইসরায়েলিরা। ইরানের প্রতিশোধের হুমকির মুখে সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে ইরানের হামলা মোকাবেলায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালানন্ত ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তজও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার দামেস্কে ১ এপ্রিল ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরসিজি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ অন্তত ৭ সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছিলেন।ইসরায়েল এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও গত বুধবার এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কনস্যুলেটে হামলা করে ইসরায়েল যেন ইরানের মাটিতেই হামলা চালিয়েছে। তারা একটি ভুল করেছে। এর শাস্তি তাদেরকে পেতেই হবে।
এদিকে, ইরানকে ঠেকাতে মিত্রদেশ তুরস্ক, চীন ও সৌদি আরবেরও দ্বারস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। তেহরানের সোজাসাপটা জবাব, ইরানের দূতাবাসে হামলা মানে ইরানের ভূখন্ডে হামলা করা। আর এ জঘন্য অপরাদের শাস্তি ইসরায়েলকে পেতেই হবে। এতে যদি ইসরায়েলকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সেনাঘাঁটিগুলোও ইরানের বৈধ নিশানা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :