মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২

শ্রীলংকাকে হারিয়ে অবশেষে জিতলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম

শ্রীলংকাকে হারিয়ে অবশেষে জিতলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশী দর্শকদের স্নায়ুর পরীক্ষা নিয়ে ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের টার্গেট দেয় শ্রীলংকা। জবাবে সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয়ের দুটি অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় লিটন দাসের দল।
এদিকে, বারবার ভক্তদের হৃদপিন্ডের পরীক্ষা নেয় টাইগার ক্রিকেটাররা। অতি উৎসাহে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ফস্কে যাওয়ার আতঙ্ক ভর করে সর্বক্ষণ। শ্রীলংকার বিপক্ষে সুপার ফোরে আরও একবার দর্শকদের স্নায়ুর পরীক্ষা নিলো বাংলাদেশ। শেষ ওভারে প্রয়োজন ৫। প্রথম বলেই জাকের আলীর চার। পাঁচ বলে দরকার এক। এমন ম্যাচই কিনা হাতছাড়া হওয়ার যোগাড়। তিন বলের মধ্যে পড়লো দুই উইকেট। শেষ পর্যন্ত নাসুম-শামীমের মরিয়া চেষ্টায় এক বল হাতে রেখে জয়।
টস জিতে বল হাতে টাইগাররা। ৪৪ রানে দলের প্রথম ব্রেক থ্রুরটি দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এক ম্যাচ পরই দলে জায়গা পেলেন শেখ মাহেদি হাসান। লংকার প্রথম তিন উইকেটের দুটিই গেছে তার ভান্ডারে। চার ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৫। লংকার শতরান ১৪ ওভার দুই বলে। 
হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ফস্কানোর প্রথম ভয়টা এলো তখনই। শরিফুল ইসলাম-নাসুম আহমেদরা লাগাম ছাড়া। ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত। একের পর এক ক্যাচ মিস। দাসুন সানাকার ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪। এক পর্যায়ে স্কোরবোর্ডে দুইশ‍‍` রানের চোখ রাঙানি। শেষটায় মুস্তাফিজ ম্যাজিক। চার ওভারের কোটায় দিলেন ২০ রান। ১৯তম ওভারে দুটি সহ তার ঝুলিতে তিন উইকেট। লংকানরা থামলো ৭ উইকেটে ১৬৮ রানে।
বিপর্যয় কাটাতে হবে। আবার রানের তরীও বাইতে হবে। অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটালেন সাইফ হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি। পাওয়ার প্লের সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা সাইফের। লিটন আশা জাগিয়েও আউট ২৩ রানে।
অধিনায়ককে হারানোর আঁচ গায়ে লাগতে দেননি সাইফ-হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ দুজন। আস্কিং রেট কখনো লাগাম ছাড়া হয়নি। ৩৬ বলে সাইফের ফিফটি। হাসারাঙ্গার দ্বিতীয় শিকার। তার আগেই বলকে চারবার মাঠ ছাড়া করেছে উড়িয়ে। আরও দুইবার গড়িয়ে। ৪৫ বলে নামের পাশে ৬১।
শুরুতে বলে বলে রান নিয়ে সাইফকে স্ট্রাইক দিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। সেট হয়ে মারমুখি সে। সাইফের ব্যাটটা নিলেন নিজের হাতে। প্রায় প্রতি ওভারেই একবার দুবার বল বাওন্ডারি দড়ির ওপার। হয় ছক্কায় নয়তো চারে। ম্যাচটা যখন নাগালে ফুলটস বলে মিসটাইমিং হৃদয়ের। দর্শক হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। ৩৭ বলে ৫৮’এ বিদায় তাওহীদ।
ততক্ষণে ম্যাচ হাতের নাগালে। শামীম পাটোয়ারী ভরসা হয়ে দাড়িয়ে আছেন। জাকের আলী এলেন। দুটি চারে জয়ের পথ সুগম করলেন। আবার ম্যাচটা হাতছাড়া করার যোগারও করলেন। শেষ পর্যন্ত এলো জয়। লংকা বধে সুপার ফোর শুরু হলো বাংলাদেশের।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!