এবার এশিয়া কাপ ফাইনালে খেলার আশা জিইয়ে রাখতে জিততেই হতো পাকিস্তানকে। শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সে কাজটা সেরে রাখল সালমান আলী আগার দল।
১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল পাকিস্তানের। পাঁচ ওভারেই ৪৩ রান তুলে ফেলেছিল সাহিবজাদা ফারহান আর ফখর জামানের উদ্বোধনী জুটি। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে দুই ওপেনার ফিরে গেলে বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে নবম ওভারের মধ্যে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৫৭/৪। তখন ১৩৪ রানের লক্ষ্যটাকে মনে হচ্ছিল দূর আকাশের তারা!
তবে এরপর হুসেইন তালাত হাল ধরেন পাকিস্তানের। প্রথমে মোহাম্মদ হারিসকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন মূল্যবান ২৩ রান। ইনিংসের ১২তম ওভারে হারিস বিদায় নিলে আবারও চাপে পড়ে যাচ্ছিল দলটা।
তবে শেষমেশ সে চাপটাকে আর ঘাড়ের ওপর জাঁকিয়ে বসতে দেননি তালাত,সঙ্গী হিসেবে এরপর তিনি পেয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজকে। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রান তোলেন, সেটাই পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়। তালাত ৩০ বলে ৩২ এবং নওয়াজ ২৪ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
তালাত বল হাতেও ছিলেন পাকিস্তানের নায়ক। অষ্টম ওভারে তিনি পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকাকে। এর আগে পাওয়ারপ্লেতে শাহিন শাহ আফ্রিদি দারুণ আগ্রাসী ছিলেন। তিনি প্রথম ছয় ওভারে দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কাকে ফেরান। আফ্রিদি শেষ পর্যন্ত তিনটি উইকেট নেন। আবরার আহমেদ উইকেট মোটে একটা পেলেও রান দিয়েছেন মাত্র আটটি, তাতেই শ্রীলঙ্কার হাঁসফাঁস বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।
পাক বোলারদের তোপের মুখে লঙ্কানরা তাদের ইনিংস শেষ করে ১৩৩ রানে। কামিন্দু মেন্ডিস একাই প্রতিরোধ গড়েন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৫০ রান। শেষ ১০ ওভারে লঙ্কানরা তোলে মাত্র ৬৩ রান।
১৩৩ আবুধাবিতে জেতার জন্য যথেষ্ট পুঁজি ছিল না। মাঝে খানিকটা চাপে পড়লেও শেষমেশ পাকিস্তানের এই লক্ষ্যটা তাড়া করতে খুব বেশি বেগ পেতে হলো না। আর তাতেই তাদের ফাইনালের আশাটা টিকে গেল ভালোভাবে।
আপনার মতামত লিখুন :