দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে ৯ রানে। তবে জেতার পরও আফসোস রয়েছে তাওহীদ হৃদয়ের।
চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটে আজ বাংলাদেশ পেয়েছে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ। তবে সেই সুযোগও কাজে লাগাতে ব্যর্থ স্বাগতিকেরা। দলীয় ২৯ রানেই বাংলাদেশ হারায় লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। তানজিদ হাসান তামিম যখন আউট হয়, তখন বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৬০ রান। সেসময় চতুর্থ উইকেটে হৃদয় ও জাকের আলী অনিক গড়েন ৫৮ বলে ৮৭ রানের জুটি। বাংলাদেশ ২০ ওভারে করেছে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আসেন হৃদয়। তাঁর মতে শুরুর দিকের ব্যাটাররা ভালো খেললে স্কোরবোর্ডে আরও কিছু রান জমা হত। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘শুরুতে দুই উইকেট হারিয়েছি। একটা জুটি দরকার ছিল। আমার ও জাকের ভাইয়ের একটা জুটি ছিল। যেরকম চাওয়া ছিল, সেভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। এর বেশি কিছু চিন্তা করিনি। অবশ্যই লক্ষ্য ছিল যত বেশি রান করা যায়। সাধারণত খুব ভালো উইকেট। শুরুর দিকে যদি দু-একটা উইকেট না যেত, ওপর থেকে যদি ৭০-৮০ হতো, তাহলে হয়তোবা রান ২০০-এর কাছাকাছি থাকত।‘
প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত থাকা হৃদয়কে আজই আউট করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ৩৩ ও ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন আজই। ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৭ রান। হয়েছেন ম্যাচসেরাও। তবে প্রথম ৬ ওভারের সুযোগ নিয়ে সেভাবে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে পারছে না বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে ৩৫,৪১ ও ৪২ রান। প্রথম ৬ ওভারের ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গ এলে হৃদয় পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘আপনাদের দিক থেকে কত হলে ভালো? (৫৫-৬০) এটা নির্ভর করে যদি আমাদের উইকেট থাকে। শুরুতে বেশি উইকেট যদি পড়ে যায়, তাহলে ৪৫-৬০ সব দিন হবে না। হয়তোবা ৫-১০ রান এদিক ওদিক হয়েছে, যেটা আমার কাছে মনে হয়। যদি আমাদের ব্যাটাররা আরও একটু ভালো শুরু করে, তাহলে এটাও পুষিয়ে দেওয়া যাবে। উইকেটটা আমরা হারিয়েছি বলেই ৫-১০টা রান কম হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :