ফুটবল সমর্থকদের জন্য শনিবারের রাতটি ছিল এক ব্যস্ততম রাত। যেখানে জোড়া পেনাল্টি মিস করেও হ্যাটট্রিক করে নায়ক বনে গেলেন আর্লিং হল্যান্ড। অন্যদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এদিকে আমেরিকার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আলো ছড়ালেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নরওয়ের হয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে মাঠে নেমে অবিশ্বাস্য এক রাতের জন্ম দিয়েছেন আর্লিং হল্যান্ড। ম্যাচের শুরুতে দুটি পেনাল্টির সুযোগ পেয়েও তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন। দুবারই তার শট রুখে দেন ইসরায়েলি গোলরক্ষক ড্যানিয়েল পেরেটজ। কিন্তু এই ব্যর্থতা তাকে দমাতে পারেনি। এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২৭, ৬৩ ও ৭২ মিনিটে গোল করে নিজের ক্যারিয়ারে ২৭তম হ্যাটট্রিক তুলে নেন এই ‘গোলমেশিন’। তার নৈপুণ্যে ৫-০ গোলে জিতে নরওয়ে। এতে বিশ্বকাপের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল তার দল।
হল্যান্ডের গোল উৎসবের রাতে পর্তুগালের হয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ পেলেও আইরিশ গোলরক্ষক কাওইমিন কেলেহার তার শট রুখে দেন। যদিও শেষ মুহূর্তে রুবেন নেভেসের গোলে ১-০ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে পর্তুগাল। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে রাতটা হতাশারই ছিল রোনালদোর জন্য।
ইউরোপের তারকাদের এমন মিশ্র অভিজ্ঞতার রাতে এমএলএসে ইন্টার মায়ামির হয়ে আলো ছড়িয়েছেন লিওনেল মেসি। আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে দলের ৪-০ গোলের জয়ে তিনি করেন জোড়া গোল। এই দুই গোলে মৌসুমে নিজের গোলসংখ্যা ২৬-এ নিয়ে আবারও লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
একই ম্যাচে গোল পেয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ লুইস সুয়ারেজও। এই গোলের মাধ্যমে উরুগুয়ের এই কিংবদন্তি স্ট্রাইকার তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ৬০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৩৮ বছর বয়সেও তার এমন পারফরম্যান্স প্রমাণ করে, দুই বন্ধুর রসায়ন এখনো আগের মতোই ধারালো।
আপনার মতামত লিখুন :