সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নিজেদের মাঠে প্লে অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ১২:৪৩ এএম

নিজেদের মাঠে প্লে অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত

টানা চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল খুলনা টাইগার্স। ১১ ম্যাচ শেষে দলটির এমন পরিণতি হবে, কেউই হয়তো ভাবেনি। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হেরে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ থেকে বিদায় নিলো এনামুল হক বিজয়ের দল। আর ম্যাচটি ৬৫ রানে জিতে নিজেদের মাঠেই প্লে অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা এই মুহূর্তে আছে টেবিলের তিন নম্বরে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাদের ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তানজিদ তামিমের সেঞ্চুরিতে ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে পারভেজ হোসেন ইমনকে (৬) হারালেও রানের গতি ভালোই ছিলো খুলনার। কিন্তু দারুণ খেলতে থাকা অধিনায়ক এনামুলের বিদায়ের পরই খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। দ্বিতীয় উইকেটে গড়া এনামুল ও শাই হোপের করা ৩৫ বলে ৫৪ রানের জুটির পর কেউই হাল ধরতে পারেননি।


এনামুল ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। এর বাইরে হোপের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৩১ রান। ক্যারিবিয়ান আরেক ক্রিকেটার জেসন হোল্ডার খেলেছেন ১৮ রানের ইনিংস। এর বাইরে খুলনার কোনও ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। সবমিলিয়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইনিংসের এক বল আগেই ১২৭ রানে অলআউট হয় খুলনা।


চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে শুভাগত হোম ২৫ রানে নেন তিনটি উইকেট। বিল্লাল খান দুটি এবং সালাউদ্দিন শাকিল, শহিদুল ইসলাম, রোমারিও শেফার্ড ও নিহাদউজ্জামান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

ঘরের দর্শকদের সামনে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে হারায় চট্টগ্রাম। এরপর সৈকত আলীকে নিয়ে শুরু হয় তানজিদ তামিমের লড়াই। ৫৬ রানের জুটির পর সৈকত ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিদায় নেন। ৬০ রানে দুই উইকেট হারানো দলকে পরে দারুণ স্কোর এনে দেয় টম ব্রুস ও তানজিদ তামিমের জুটি। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তানজিদ তামিম সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১১০ রানের জুটি! আউট হওয়ার আগে অবশ্য বিপিএলের ৩২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার।


এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন তানজিদ তামিম। ৩২ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন আর ২৬ বল খেলে। ১৬তম ওভারে হোল্ডারের বলে সিঙ্গেল নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে ৩২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেই শূন্যে ব্যাট ছুড়ে বুনো উদযাপন করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ৮ চার ও ৮ ছক্কায় ১১৬ রানের ইনিংসটিকে সাজান এই ব্যাটার। এছাড়া ব্রুসের ২৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে চট্টগ্রাম ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।

খুলনার বোলারদের মধ্যে কেউই খুব বেশি নজর কাড়তে পারেননি। নাসুম আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম, হোল্ডার ও ওয়েন পার্নেল প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!