যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুই পেয়েছিল শ্রলিঙ্কা। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমতো ঘাম ছুটিয়েছেন লঙ্কান টপ অর্ডার ব্যাটাররা। তবে এরপরই শুরু মুস্তাফিজুর রহমানের জাদু। নিজের প্রথম ২ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তিনি। মিডল ওভারে এরপর রিশাদ নেন ৩ উইকেট। তাদের অসাধারণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানেই আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বাংলাদেশ। টেক্সাসের ডালাসে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে বোলিং করতে নেমে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকে দিয়েছে টাইগাররা। বোলিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেটের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করে ফেরান তিনি। কুশল আউট হলেও রানের চাকা ভালোভাবেই সচল রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে ১৬ রান নেয় লঙ্কানরা। ৫ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৮ রান। সবকিছু ভালোই চলছিল লঙ্কানদের, এমন সময় বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। মিড অফে কামিন্দু মেন্ডিসকে তানজিম সাকিবের ক্যাচ বানান তারকা এই পেসার। পাওয়ারপ্লে থেকে ৫৩ রান আসে শ্রীলঙ্কার। পাওয়ারপ্লের পর রানের গতি কমে। তবে লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে একাই এগিয়ে রাখছিলেন পাথুম নিসাঙ্কা। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসে তাকে আউট করেন মুস্তাফিজ। ২৮ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন নিসাঙ্কা। মিডল ওভারে রানের গতি কমিয়ে আনে বাংলাদেশ। নবম ওভার থেকে ১৪ ওভার পর্যন্ত ৫ ওভারে কেবল ৩০ রান নেয় লঙ্কানরা। রানের চাপে পড়ে ভুল শট খেলা শুস্ত্র করে দলটি। ১৫তম ওভারে রিশাদ হোসেন পরপর দুই বলে আউট করেন দুই লঙ্কান ব্যাটারকে।
ওভারের প্রথম বলে চারিথ আসালঙ্কাকে সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রিশাদ। ২১ বলে ১৯ রান করেছেন আসালঙ্কা। পরের বলেই আউট হন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। রিশাদের লেগস্পিন বলে ¯িøপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হাসারাঙ্গা। দ্রæত ২ উইকেট হারানোর পর আরও ব্যাকফুটে চলে যায় শ্রীলঙ্কা। সুযোগটা লুফে নেন রিশাদ। নিজের পরের ওভারে আউট করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। ২৬ বলে ২১ রান করেছেন তিনি।এরপর কেউই ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। অসাধারণ ডেথ ওভার বোলিং করেছেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিয়েছেন ১২৪ রানে। একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু ১৯ বলে ১৬ রান করে শেষ ওভারে আউট হন তিনি। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। রিশাদও সমান ৩টি উইকেট নিয়েছেন ২২ রান দিয়ে। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
আপনার মতামত লিখুন :