এশিয়া কাপে এবার মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলের এবারের লড়াইয়ে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে বাড়তি অনুপ্রেরণা। শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই যে সামনে অপেক্ষা করছে ‘ফাইনাল’! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসটা খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়। দুই দলের লড়াইটা প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ের হয় বছর দশেক হলো। তবে তার আগ পর্যন্ত দুই দলের লড়াই মানেই যেন ছিল বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ।
আজ যখন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, সে ইতিহাসটা তাই খুব বেশি অনুপ্রেরণা দেবে না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের ৮ জয়ের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১৩ ম্যাচে। আর হিসেবে যদি আনা হয় এশিয়া কাপকে, তাহলে ৩ জয়ের বিপরীতে দেখা যায় ১৪টি হারকে।
সবশেষ হারটা এসেছে গ্রæপের্বে। সে ম্যাচে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪০ রানে লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা ১৪.৪ ওভারেই টপকে গিয়েছিল। সেই ম্যাচটাই বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। তবে মুদ্রার উল্টোপিঠটা দেখলে অনুপ্রেরণাই নিতে পারে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের তিন জয় বাংলাদেশকে ভালোভাবেই উজ্জীবিত করে তুলতে পারে। কারণ তার সঙ্গে যে জড়িয়ে আছে ইতিহাস!
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ প্রথমবার লঙ্কানদের হারায় ২০১২ সালে। বহুজাতিক কোনো টুর্নামেন্টেও সেবারই প্রথম লঙ্কানদের হারানোর স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এবং সেবার সে জয় মুশফিকুর রহিমের দলকে তুলে দেয় ফাইনালে।
দলটা এই টুর্নামেন্টে পরেরবার লঙ্কানদের হারায় ২০১৬ সালে। মাশরাফি বিন মুর্তজার দল সেবারও ফাইনালে খেলেছে। ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, সেবার খর্বশক্তির দল নিয়েও পৌঁছে গিয়েছিল ফাইনালে।
তো ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশ এশিয়া কাপে যখনই হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে, এরপর ফাইনাল অপেক্ষা করেছে দলের জন্য। এবারও আবার সামনে শ্রীলঙ্কা। আজকের ম্যাচে একটা জয় হয়তো ফাইনাল নিশ্চিত করে দেবে না দলের জন্য, তবে সে লক্ষ্যে বড় একটা পদক্ষেপ হবে নিশ্চয়ই। বাংলাদেশও সেটাই করতে চাইবে আজ।
আপনার মতামত লিখুন :