করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

মিয়ানমার সীমান্তে করিডোর ইস্যুতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহিত করা হয়নি। এই ধরনের স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান বলেন, সবার আগে বাংলাদেশ এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, মিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণ ও নির্বাচিত সরকারের কাছে থেকে আসতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, বিদেশি স্বার্থ রক্ষা নয়, সবার আগে জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই বাংলাদেশকে কেউ তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। সবার আগে বাংলাদেশ এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য : তারেক রহমান সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন সংস্কারে আপত্তি নেই, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রকাশ করুন।এর আগে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাকএই ¯েøাগানের মধ্য দিয়ে নয়া পল্টনে শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশ।দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের কার্যক্রম। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের লম্বা সড়ক সেই ফকিরাপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত হাজারো শ্রমিকের উপস্থিতিতে সমাবেশটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
সমাবেশে মাথায় লাল টুপি, গায়ে লাল গেঞ্জি পড়ে আসা শ্রমিকদের কণ্ঠের অন্যতম ¯েøাগান ছিল, ‘দুনিয়া মজদুর এক হও, লড়াই করো’। আন্তর্জাতিক শ্রমিকদের এই সার্বজনীন ¯েøাগানের পাশাপাশি ‘অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন চাই, নির্বাচন দিতে হবে দিতে হবে’ এই ¯েøাগানও উচ্চারিত হয়েছে সর্বক্ষণ।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ১২ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার, সব প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার, বন্ধ শিল্প চালু, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান, আউট সোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী পদ সৃষ্টি, অবাধ, গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, শ্রমিক হত্যার বিচার, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা, বৈষম্যহীন জাতীয় পে-স্কেল ও মজুরি হার ঘোষণা, জরুরি পরিষেবা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল এবং খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো।