নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জয়ী হব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচলে তারেক রহমানকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ২০২৬ সালে আমরা জয়ী হব।
তিনি বলে, বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে তাকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাচ্ছি। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারেক রহমান দূর থেকে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদরে গণতন্ত্রের লড়াইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দীর্ঘ নিপীড়ন ও নির্বাসিত জীবন শেষে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন তারেক রহমান। এই গণতন্ত্র উত্তরণে সবচেয়ে কঠিন পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি তার নেতৃত্বে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দরে।
তারেক রহমান এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া কামনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যেন আগামী ১২ ফেব্রæয়ারি নির্বাচনে জয়ী হয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করতে পারি এবং আমাদের তারেক রহামনের ৩১ দফাকে বাস্তবায়ন করতে পারি।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচররা বিভিন্নভাবে এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, আপনারাই আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, দেশকে গড়ে তুলবেন। এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদের আজ গ্রহণ করতে হবে, যাতে এ দেশকে আমরা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর গড়ে তুলতে পারি।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের চব্বিশের আন্দোলনের সাহসী প্রজন্মের সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। হাদি চেয়েছিল এ দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ওসমান হাদিসহ একাত্তরে যারা শহিদ হয়েছে, বিগত সরকারের সময়ে যারা বিভিন্নভাবে গুম-খুনের শিকার হয়েছে, এই মানুষদের রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয় তাহলে আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেখানে আমরা সকলে মিলে কাজ করব। যেখানে সকলে মিলে আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তার মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে তারেক রহমানের।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ আগে তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আবেগঘন বার্তায় লেখেন, দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!
তারও আগে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। একই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টায় লন্ডনের নিজ বাসা ত্যাগ করেন তারেক রহমান। তিনি স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রাত সোয়া ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান।সংগৃহীত ছবি

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :