বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

আমার কথা বলার অধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল: তারেক রহমান

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১০:৪৬ এএম

আমার কথা বলার অধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,গত স্বৈরাচারী সরকারের সময় কোর্ট থেকে রীতিমতো একটি আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমকে কিছু বলতে চাইতাম, হয়ত গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল তা ছাপানোর, কিন্তু তারা তা করতে পারত না। বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, আমি একবার প্রেস ক্লাবে কথা বলেছিলাম।
পরদিন দেখলাম,তখনকার প্রেস ক্লাবের যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিল যে,আইনের দৃষ্টিতে আমাকে ফেরারি হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল,তাই সেরকম ব্যক্তিকে প্রেস ক্লাবে কথা বলতে দেওয়া হবে না। এভাবেই তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে।তিনি বলেন,আমি কথা বলেছি। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায়; আমি মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি এবং ইনশাল্লাহ পৌঁছিয়েছিও।
কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা নয়, আমি কথা বলেছি। হয়ত আপনারা তা নিতে পারেননি বা শুনতে পারেননি,ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে বা প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি এবং আমি থেমে থাকিনি।
তারেক রহমান বলেন আলহামদুলিল্লাহ আমি শারীরিকভাবে ভালো আছি। সময় তো স্বাভাবিকভাবে ব্যস্তই যাচ্ছে। ফিজিক্যালি হয়তো আমি এই দেশে আছি, বাট মন মানসিকতা সবকিছু মিলিয়ে তো আমি গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই রয়ে গিয়েছি।
তিনি বলেন আমরা এমন একটা সময় আপনার সাথে কথা বলছি যখন বাংলাদেশ ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল বলা হবে না। ২০২৪ সালে একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনের অবসান হয়েছে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আপনি আপনার অনেক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, কথা বলেছেন, নিয়মিতই কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু গণমাধ্যমের সাথে আপনি এই দীর্ঘ সময় কথা বলেননি। এতদিন ধরে আপনি কথা বলেননি কেন?
তারেক রহমান বলেন আমি দীর্ঘ ১৭ বছর এখানে আছি এই দেশে, প্রবাস জীবনে, তবে আমার উপরে যখন দলের দায়িত্ব এসে পড়েছে তারপর থেকে আমি গ্রামে-গঞ্জে আমার নেতাকর্মীসহ তাদের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ যখন যেভাবে অংশগ্রহণ করেছে আমি সকলের সাথে কথা বলেছি।আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কোর্ট থেকে রীতি মতন একটা আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইতাম, হয়তো গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল ছাপানোর, গণমাধ্যম সেটি ছাপাতে পারতো না।
আমি একবার প্রেসক্লাবে কথা বলেছিলাম। তখন পরের দিন দেখলাম যে প্রেসক্লাবে একটি তখনকার যেই প্রেসক্লাবের যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা একটি মিটিং ডেকে একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা তখন আমাকে আইনের দৃষ্টিতে ফেরারী বলা হয়েছিল যে, সেরকম কোন ব্যক্তিকে তারা প্রেস ক্লাবে কথা বলতে দিবে না। এভাবে তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে।
আমি কথা বলেছি, সামাজিক মাধ্যম সহ বিভিন্ন পন্থায় আমি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, আমি ইনশাল্লাহ পৌঁছেছি মানুষের কাছে। কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা না। আমি কথা বলেছি হয়তো আপনারা তখন কথা নিতে পারেননি অথবা শুনতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে পারেননি হয়তো প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি আমি থেমে থাকিনি।
দেশে ফেরার প্রশ্নে যা তিনি বললে আমি অবশ্য সাক্ষাৎকারের কথা বলছিলাম যে, প্রশ্নোত্তরের বিষয়টি মানে বিশেষ করে গত এক বছরে। বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেছে এবং অনেকের ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপনি দেশে এসে স্বশরীরে দলের নেতৃত্ব দেবেন। গত এক বছরে যে প্রশ্নটা বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে এবং এখনো আসছে যে আপনি এখনো দেশে ফেরেননি কেন। কেন আপনি এখনো দেশে ফেরেননি?এমন প্রশ্নের উওওে তিনি বলেন কিছু সংগত কারণে হয়তো ফেরাটা হয়ে উঠেনি এখনো। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়। ইনশআল্লাহ দ্রæতই ফিরে আসবো।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!