বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

দ্রæত নির্বাচন দিন,দেরি হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে-মির্জা ফকরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১১:২১ পিএম

দ্রæত নির্বাচন দিন,দেরি হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে-মির্জা ফকরুল

অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি দ্রæত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,দেশে রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে, নির্বাচন দেরি হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বুধবার ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুন্সিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কার করুন, দয়া করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিন। দেশের জনগণ তাদের মতের সরকার নির্বাচিত করুক।’ দেরিতে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা আসতে পারে এ আশঙ্কা ফখরুলের। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনা আর দেশে আসতে পারবে না। এলে জনগণ তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরাবে। 
বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আপনাকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। তাই দয়া করে দেরি না করে একটি নিরপেক্ষ,গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন,‘শিশু-কিশোর, ছাত্র, সাধারণ মানুষ সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। আলেমদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির অভিযোগও আছে। এসব অন্যায়ের বিচার একদিন হবেই।’
শেখ হাসিনার সময়কার নির্বাচনব্যবস্থাকে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৫ বছর ধরে জনগণ সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেনি। আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে যেত। আওয়ামী লীগের মধ্যে আমলীগ হয়ে যেত। তবে এবার এমন নির্বাচন চাই, যেখানে আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।ভারতের প্রতি আহবান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন। এখানে তার বিচার হতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব তার নির্বাচনি এলাকা গণসংযোগের তৃতীয় দিনে বড়গা ইউনিয়নের লক্ষীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলটির আয়োজিত গণসংযোগ এক অনুষ্ঠানে পৌঁছালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।এ সময় নারীরা উলুধ্বনি দিয়ে ফখরুলের মঙ্গল কামনা করেন। কিসমত কেশুর বাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের মন্দিরের পুরোহিত মুরালি দেবনাথ বিএনপির মহাসচিবকে বলেন, আপনার মন ভাঙা কেন? এখন তো গোড়া পচে গেছে। গাছের গোড়া পচে গেলে সেটা তো আর গাছ থাকে না। আপনি আমাদের বটবৃক্ষ। বিএনপি সরকার গঠন করলে আপনি আমাদের নিরাপত্তা দেবেন, ছায়া দেবেন। এবার আমরা আপনাকে ভোট দেব। আপনি শুধু আমাদের পাশেই থাকবেন- এটা আমাদের করজোড় প্রার্থনা।বক্তব্যের শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কখনো বিভাজনের রাজনীতি করিনি। কারও ধর্ম বা পরিচয়ে নয়, আমরা মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখি। আমি এখনো মনে করি, আমি আপনাদের একজন।’
পরে তিনি ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগর এলাকার একটি গির্জায় গিয়ে সেখানকার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শেষে একটি স্কুলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি তিন দিনের গণসংযোগ শেষ করে ঢাকার উদ্দেশে আকাশপথে রওয়ানা দেন। গণসংযোগকালে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!