ডেইলি খবর ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য বাসভবন এবং অফিস প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন তিনি। এই বাসার পাশেই ‘ফিরোজা’য় থাকেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা কক্ষও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া গুলশানে আরেকটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে ১০/সি’র নতুন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে জাতীয় রিল-মেকিং প্রতিযোগিতা শুরুর ঘোষণা দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছেন তারেক রহমান। তাঁর আগমন উপলক্ষে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এদিন তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেতার অপেক্ষায় আছে দেশবাসী। সেদিন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সড়কের দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন। আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ গত সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। এতে তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমানের বাসভবন হিসেবে ঠিক করা হয়েছে গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসাটি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেয়। সেই বাড়িতে উঠছেন তারেক রহমান। বাসার সামনে নিরাপত্তা ছাউনি বসানো হয়েছে। সড়কের সামনে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করা ছাড়াও নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।
গুলশানে নতুন অফিস-রাজধানীর গুলশানে ৯০ নম্বর সড়কের ১০ সি বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে বিএনপির অফিস হিসেবে। চার তলা এই বাড়িতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। দোতলায় ব্রিফিং কক্ষ। অন্যান্য তলায় বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্তদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে গবেষণা সেল। নতুন অফিস খোলার পর গতকাল বিকেলে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মাহাদী আমিন বলেন, এখান থেকে নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
রিল-মেকিং প্রতিযোগিতা-মাহাদী আমিন বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে গণমানুষের মাঝে রয়েছে তীব্র আবেগ ও আগ্রহ। এ উপলক্ষে জাতীয় রিল-মেকিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আজ (গতকাল) থেকে এই প্রতিযোগিতা চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দেশ এবং বিদেশের সব শ্রেণি এবং পেশার মানুষ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে তাদের নিজ নিজ পরিকল্পনা, প্রত্যাশা, ভাবনা এক মিনিটের রিল ভিডিওর মাধ্যমে অনলাইনে পাঠাতে পারবেন। এই রিল হতে পারে ছোট্ট একটি ভিডিও;যেখানে যেকোনো কনটেন্টের মাধ্যমে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী নিজের বক্তব্য, স্যাটায়ার, গান, সংলাপ, ডকুমেন্টারি অ্যানিমেশন কিংবা কয়েকটি ছবি বা আর্টের সমন্বয়ে তা পাঠাতে পারবেন। এর মাধ্যমে হতে পারে গঠনমূলক সমালোচনা, হতে পারে সুবিস্তৃত কোনো পরিকল্পনা কিংবা ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন,এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনায় প্রত্যেক মানুষকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ করে দেওয়া। যারা বিজয়ী হবেন তাদের শীর্ষ ১০ জন তারেক রহমানের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একান্ত আলাপচারিতার সুযোগ পাবেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ, জিয়া উদ্দিন হায়দার, চেয়ারপারসনের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য সাইমুম পারভেজ এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।সংগৃহীত ছবি

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :