বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে বিদেশি শ্রমিক কোটার আবেদন গ্রহণ করবে মালয়েশিয়া, চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে বিদেশি শ্রমিক কোটার আবেদন গ্রহণ করবে মালয়েশিয়া, চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

এবার মালয়েশিয়া সরকার চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনটি মূল খাত বাগান, কৃষি, খনি ও খনিজ উত্তোলন এবং আরও ১০টি উপখাতে বিদেশি শ্রমিক কোটার আবেদনকে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে বিশেষ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখিত উপখাতগুলো হলো নিরাপত্তা সেবা, ধাতু ও স্ক্র্যাপ উপকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণ, পাইকারি ও খুচরা ব্যাবসা, লন্ড্রি, রেস্টুরেন্ট, স্থলভিত্তিক গুদামজাতকরণ, কার্গো হ্যান্ডলিং, সরকারি প্রকল্পের আওতায় নির্মাণকাজ, এবং মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মিডা) কর্তৃক অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প যা সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুপারিশে নির্ধারিত হবে।
দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইলের বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “এই সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সরকার শুধু গুরুত্বপূর্ণ খাতে শ্রম ঘাটতি পূরণেই নয়, বরং অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় মাদানী সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই বিশেষ সুবিধার আওতায় নিয়োগদাতারা বিদেশি শ্রমিক কোটার আবেদন সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ওয়ান স্টপ সেন্টার (ওএসসি) ফর ফরেন ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্টে জমা দিতে পারবেন। আবেদনসমূহ মূল্যায়ন করবে পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ (জেটিকেএসএম) এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নিয়োগদাতাদের নির্ধারিত সব সাপোর্টিং ডকুমেন্ট সম্পূর্ণভাবে জমা দিতে হবে, এবং প্রতিটি আবেদন যোগ্যতা ও প্রকৃত জনবল চাহিদার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই উদ্যোগ সরকারের সেই প্রতিশ্রæতিরই প্রতিফলন, যেখানে বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনায় একটি নমনীয় ও প্রয়োজনভিত্তিক নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে যাতে শিল্পখাতগুলো দক্ষভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে টিকে থাকতে পারে।
বারনামা আরো জানিয়েছে,এই পদক্ষেপ সরকারের জন্য আগামী বছরে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা ও শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি করবে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট কর্মশক্তির মধ্যে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১০ শতাংশে সীমিত রাখার জাতীয় লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!