বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

নির্বাচন ফেব্রæয়াারিতে হবে কি না, বিদেশ থেকে প্রশ্ন করে: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৯:২০ পিএম

নির্বাচন ফেব্রæয়াারিতে হবে কি না, বিদেশ থেকে প্রশ্ন করে: অর্থ উপদেষ্টা

দেশে আগামী ফেব্রæয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে কি না, বিদেশ থেকে সে প্রশ্ন করা হয় বলে জানালেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ ২৫ জুন বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানো নিয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের আস্থা আরও বেশি কীভাবে আনা যায় আমরা দেখব। মোটামুটি ব্যবসায়ীদের আস্থা কিন্তু আছে। আমরা যখন ফরেন এক্সচেঞ্জ ওপেন করি (ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া) তখন আমাদের অনেক টেনশন ছিল, হঠাৎ কী হয়। পাকিস্তানের মতো হয়ে গেলে তো আমাদের জন্য বিপদ, কিন্তু সেটা হয়নি।’
অপর প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদবলেন,‘অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, অর্থনৈতিক সংস্কার রাজনীতির ওপর নির্ভর করে। রাজনীতি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। তবে এমন কিছু ঘটে যায়নি যে এখন হবে না। এখন তো মোটামুটি এগ্রিড (একমত) একটা সময় আসছে ইলেকশনটা কখন হবে। সবাই মোটামুটি সন্তুষ্ট, সবাই সন্তুষ্ট। এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা...। ওরা চিন্তা করছে, বাইরে থেকে (বিদেশ থেকে) কথা হচ্ছে ফেব্রæয়ারিতে (নির্বাচন) হবে কি না। আমরা তো বলছি হবে। আমি যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে যাই, তখন আমাকে এ প্রশ্ন করেছিল।’
দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক বিনিয়োগটা এখন ¯েøা আছে। ওরা লক্ষ্য করছে ফরেন এক্সচেঞ্জ স্থিতিশীলতার জন্য। এখন তো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটু বেড়ে গেছে। অতএব মোটামুটি আমাদের দেশে রেগুলেটরিটি বিষয়টা ঠিক থাকলে ডেফিনেটলি বিনিয়োগ বাড়বে।’
বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্রয় কমিটির বৈঠকে গম কেনা হয়েছে। ফরচুনেটলি গমের দাম কমে গেছে। এই কেনাকাটায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চাল-গমের যে রিজার্ভ আছে সেটা এখনো সন্তোষজনক। তবুও আমরা বলেছি ৫০ হাজার টন গম এনে রাখার জন্য। যাতে খাদ্যের কোনো শর্টেজ না হয়।’
ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধের কারণে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েনি জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হরমুজের কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। যুদ্ধের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল সেটা যুদ্ধ বন্ধের পর কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রি-টেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কম পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মিনিস্ট্রির একটা ক্রেডিট। মরক্কো, তিউনিশিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এখানে কোনো উপায় ছিল না।’

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!