বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত

জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জানিয়েছে রাজনৈতিক দল ও জোট এবং বিশেষজ্ঞরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের পক্ষ থেকে দেয়া সুপারিশসমূহ হচ্ছে: 
১। পূর্নাঙ্গ সনদ বা তার কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান।
২। রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতার বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা।
৩। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রেেয়াজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা।
৪। ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই সনদ বাস্তবায়ন করবেন।
৫। সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা।
৬। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্র্বতী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরণের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোটের মতামত চাওয়া।
যদিও পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো চারভাবে বাস্তবায়নের জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।
আইন বিশেষজ্ঞদের প্যানেলের মতামত-জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের প্যানেলে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে: 
১. অন্তর্র্বতীকালীন সরকার জুলাই ঘোষণার ২২ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি সংবিধান আদেশ জারি করতে পারে যাতে জুলাই সনদ ২০২৫ দ্বারা পরিকল্পিত মূল সংস্কারগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই সংবিধান আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
২. পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখে অনুষ্ঠিত গণভোটের জন্য সংবিধান আদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। 
৩. গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান আদেশকে যদি জনগণের সম্মতি পায়, তাহলে এটি কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
ঐকমত্য হয়েছে যেসব বিষয়ে-
এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে দুটি বিষয়ে সবার মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো হচ্ছে:১। সুপারিশের যে সব বিষয় সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয় সে সব বাস্তবায়নের জন্যে অন্তর্র্বতী সরকার অধ্যাদেশ জারি করতে পারে। উল্লেখ্য যে, সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরণের কিছু বিষয়ে ইতিমধ্যেই অধ্যাদেশ জারি এবং তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
২। সুপারিশের যে সব বিষয় সরকারী বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আদেশ ও বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো অন্তবর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করতে পারে। উল্লেখ্য যে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ধরণের কিছু বিষয় ইতিমধ্যেই যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।

 

 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!