নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতের সবজিতে বাজারগুলো সয়লাভ,তবু কমছেনা দাম। ক্রেতারা বলছেন এখন চলছে সবজির ভরা মৌসুম, তবুও দামে নেই স্বস্তি। মানুষের নিত্যপণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন আসবে তার কোনো সুখবরের তথ্য নেই। নতুন পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা কমেছে, মুরগি ও ডিমের বাজার আগের মতোই। তবে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় পুরোনো পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা কাটেনি, যা এখনো কেজিতে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহেও নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়েনি। বেশিরভাগ দোকানে এখনো পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, আর নতুন পেঁয়াজ যেখানে আছে সেখানে মানভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে।
বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আড়ত থেকেই বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হওয়ায় তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বৃদ্ধিও দামের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে জানান তারা।
বাজারভেদে দেখা গেছে, টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। গাজর, শিম ও বরবটির কেজিও অনেক জায়গায় ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে নামছে না। শালগমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৫০ টাকা এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে আলুর বাজারে শুরু থেকেই দামে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। প্রতি কেজি নতুন আলু গত সপ্তাহে বাজারভেদে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন আরও ৫ টাকা কমে ৩০-৩৫ এর মধ্যেই মিলছে। আর পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে আগের মতো ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে লম্বা জাতের বেগুনের দাম কম। গোলাকৃতির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। শিমের আবার জাতের ভিন্নতার কারণে দামেও কমবেশি দেখা গেছে। সাধারণ মানের সবুজ শিম ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির ডিম বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা ডজন হিসেবে। গত সপ্তাহেও একই দামে ডিম বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির ডিমের দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে।
পালংশাকের এক আঁটি কিনতে গুনতে হচ্ছে ২০ টাকা, আর লালশাক ও মুলাশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি দরে। বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
এদিকে মাছের বাজারেও অস্থির হয়ে আছে। মাঝারি আকারের রুই মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা এবং শোল মাছের দাম উঠেছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা।
মাংসের বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় নেমেছে। পৌষ মাসের শীতে সবজির বাজারে স্বস্তি যদি ফিরে। সংগৃহীত ছবি

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :