ঢাকা এখন ফাঁকা। দেশের জনঘনবহুল রাজধানীর রাস্তাগুলো জনশুণ্য হয়ে পরেছে প্রায়। ঈদের রাতে শেষ সময়ে ভিড় এখন পশুর হাট আর বাস, লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনে। টানা ১০ দিনের সরকার ছুটি পেয়ে এখন নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। রাজপথ খালি হয়ে আসছে, চির-চারিত যানজট নেই। অন্যদিকে আবাসিক এলাকার প্রায় প্রতিটি ভবনেই এখন শোভা পাচ্ছে পশু বেঁধে রাখার দৃশ্য। অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে খড়–কাঁঠাল পাতা আর পশু কোরবানির যন্ত্রপাতি। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের এই ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে। সাতই জুন শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ইতোমধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন বহু মানুষ। এতে ঢাকা শহর হয়ে গেছে অনেকটাই ফাঁকা।
এরআগে শুক্রবার ৬ জুন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাঘাট তেমন যানবাহন নেই, অনেকটাই ফাঁকা। ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী বেশিরভাগ বাসে যাত্রী ছিল খুবই কম। সড়কে মানুষ ও যান চলাচল কম থাকায় কোনো যানজট চোখে পড়েনি। ফলে মানুষ খুব কম সময়ের মধ্যে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারছেন। অনেক স্থানে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিও তেমন চোখে পড়েনি। চালকরা নিজেদের মতো ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা করে গাড়ি চালাচ্ছেন। কয়েকজন নগরবাসী জানান,মহাখালী ও সায়েদাবাদ এলাকায় বেশ যানজট লক্ষ্য করা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি যানজটে পড়েছে গাবতলী হয়ে যারা ঢাকা ছেড়েছেন। মিরপুর বাংলা কলেজ ও টেকনিক্যাল থেকে শুরু করে গাড়িগুলো যেন এগোতেই চাইছিল না।
ঢাকার পাশ^বর্তী মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের শিবপুরের বাসিন্দা শুভ জানান,সকাল বেলা একটা প্রাইভেটকার ভাড়া করে শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে তিনি পরিবার নিয়ে বের হন। বাংলা কলেজে পৌঁছার পর গাড়ি আর এগোচ্ছিল না। আধা ঘণ্টা আটকে থাকার পর গাড়ি ঘুরিয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর হয়ে বসিলা ব্রিজ হয়ে সাভারের হেমায়েতপুর পৌঁছান। অন্য সময় যেখানে এক ঘণ্টায় বাড়িতে পৌঁছে যান, সেখানে তার সময় লেগেছে চার ঘণ্টা। বিপরীতে সেগুনবাগিচার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘দুদিন আগেও অত্র এলাকায় যেসব এলাকায় যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগত, আজ সেখানে যেতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগছে। ঢাকার প্রায় সব এলাকার রাস্তাগুলো প্রায় ফাঁকা। যানবাহনের নেই কালো ধোঁয়া, নেই ফুটপাতে কোলাহল।
আপনার মতামত লিখুন :