রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৪, ০৮:২৫ এএম

মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী


পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের পর মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস সেনাবাহিনী আবার অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমাদের সেনাবাহিনী আজকে জনগণের পাশে দাঁড়ায় এবং জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে। পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টের পরে সেনাবাহিনীর ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস, সাধারণ মানুষ কিন্তু হারিয়ে ফেলেছিলো।’
রোববার ৫ মে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম ‘সেনা প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন শেষে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দরবারে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আমার প্রচেষ্টা ছিলো যে, সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের সাধারণ মানুষের যেনো আস্থা-বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। যেটা যে কোনো একটা সেনাবাহিনীর জন্য একান্তভাবে জরুরি এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন,’ বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস থাকে না, তারা কখনো কোনো রণাঙ্গনে বিজয় অর্জন করতে পারে না।
তবে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনো দুঃসময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ‘যে কোনো একটা দুঃসময় দেখা দিলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের একটা ভরসাস্থল হিসেবে সেই আস্থা আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করের সরকারপ্রধান। বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অবদান রাখে প্রতিটি দেশ, প্রত্যেকেই ভূয়সী প্রশংসা করে। সেটাকে আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে আমরা তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
‘ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিক জ্ঞানসম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। যেহেতু ২০০৮ এর নির্বাচনে আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা; কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গড়ে উঠবে সেটাই লক্ষ্য, সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইন্সটিটিউট অব প্যাথলজি(এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম ‘সেনাপ্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে এএফআইপির নতুন ভবনটি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও পরিবারের সদস্যসহ জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এএফআইপি নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম ‘সেনাপ্রাঙ্গণ’ নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর দরবারে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.সামন্তলাল সেন এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!