রাজধানীর একাধিক স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এসব মিছিল হয়। ওই সময় এবং পরবর্তীকালে অভিযান চালিয়ে ১৩১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের আজ গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় ৬, উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় ২, গুলশানে ২৪, খিলক্ষেতে ৪, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৩, ধানমন্ডিতে ৬, নিউমার্কেটে ৬, শাহবাগে ৩, মোহাম্মদপুরে ৮, হাতিরঝিলে ১, পল্টনে ৬ ও মতিঝিলে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর কুড়িল, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, ধানমন্ডি, তেজগাঁও, বাটা সিগন্যাল, আগারগাঁও, মৎস্য ভবন ও মতিঝিল এলাকায় আজ মঙ্গলবার মিছিল করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ। এসব ঝটিকা মিছিলে কোথাও ৮১০ জন, আবার কোথাও বেশিসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলা হয়, তাদের অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।
এদিকে আজ ভোর ও সোমবার দিনের বিভিন্ন সময়ে রাজধানীতে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তারা হলেন কক্সবাজারের ডুলহাজারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি এখলাস মিয়া, খাগড়াছড়ির মহালছড়ি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান, আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ নেওয়া সাইফুল ইসলাম, মাদারীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জুয়েল আহাম্মেদ রনি, ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া রিয়াজ উদ্দিন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় উত্তরা থেকে এখলাস মিয়া, সকাল সাড়ে ৭টায় আদাবর থেকে জিয়াউর রহমান ও রাত ১১টায় পোস্তাগোলা থেকে সাইফুল ইসলাম এবং মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় গুলিস্তানের একটি আবাসিক হোটেল থেকে জুয়েল আহাম্মেদ রনি, রিয়াজ উদ্দিন ও আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :