বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

আদানির সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি কায়কাউসের মাধ্যমে-অনুসন্ধানে দুদক

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১০:২৩ পিএম

আদানির সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি কায়কাউসের মাধ্যমে-অনুসন্ধানে দুদক

দেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ‘পাশ কাটিয়ে’ ভারতের আদানি গ্রæপের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তির সময় শুল্ক ও কর অব্যাহতির মাধ্যমে আদানিকে এই ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে দুদক।৩০ এপ্রিল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,আদানি গ্রæপের বিদ্যুৎ আমদানিতে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার শুল্ক ফাঁকির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এই দুর্নীতিতে যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, সবার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি ভারতের আদানি গ্রæপের বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত চেয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক। দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিমের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়।দুদকের পাঠানো চিঠিতে অভিযোগর বিষয়ে বলা হয়, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এনবিআরকে পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের পাঠানো ওই চিঠিতে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চার ধরনের তথ্যউপাত্ত পাঠাতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্নবর্ণিত রেকর্ডপত্র তথ্যাদি সরবরাহ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।দুদকের চাওয়া রেকর্ডপত্রের মধ্যে রয়েছে আদানি গ্রæপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তির শু হতে শেষ অবধি যাবতীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, সরকারি নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কি না,এসংক্রান্ত রেকর্ড,বিদ্যুৎ ক্রয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নাম–পদবি, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর এবং এসব বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত হয়ে থাকলে তদন্ত প্রতিবেদনসহ বিস্তারিত তথ্যাদি দিতে বলা হয়েছে।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!