ডেইলি খবর ডেস্ক: প্রায় দেড় যুগ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে রওনা করেন তারেক রহমান। তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৮টার দিকে তারেক রহমান লন্ডনের বাসা থেকে রওনা হয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেন।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের নেতা বাংলাদেশ বিমানের এক নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে যাত্রা বিরতির পর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবেন ইনশাআল্লাহ।
ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এরপর সড়কপথে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তিনি। এই হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসন ও তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন।
২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী তারেক রহমান। ২০০৯ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। ২০১৮ সালে তার মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। তখন থেকেই তিনি বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করছেন, ভার্চুয়ালি সভা ও সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। লন্ডন থেকে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি গণমানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয় তারেক রহমানকে। ১৮ মাস কারাগারে থাকার সময় অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তারেক রহমান। এক সপ্তাহ পরে, ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি।সংগৃহীত ছবি

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :