শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

১০টির বেশি সিম আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ১০:১৮ এএম

১০টির বেশি সিম আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে

বন্ধ হচ্ছে ১০টি সিমের বেশী সিমগুলো। আজ (১ নভেম্বর) থেকে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম রাখা যাবে না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটররা আজ থেকেই অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করছে।
এর আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন একজন ব্যবহারকারী সব অপারেটর মিলিয়ে সর্বাধিক ১০টি সিম রাখতে পারবেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, ‘শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় না থাকে।’
বিটিআরসি সূত্র বলছে, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো ও বিভিন্ন প্রতারণা রোধ করতেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনে অথবা *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন।
সিম বন্ধের প্রক্রিয়ায় ‘দৈবচয়ন’ নীতি অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘দৈবচয়ন অর্থাৎ র‌্যান্ডম সিলেকশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলো বাছাই করা হবে। এতে কোনো মানবিক সিদ্ধান্ত বা প্রভাবের সুযোগ থাকবে না। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।’
তিনি আরও বলেন,‘যদি কোনো ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকে, তবে অতিরিক্ত সিমগুলোর মধ্যে কোনগুলো নিষ্ক্রিয় হবে তা কম্পিউটারই এলোমেলোভাবে নির্ধারণ করবে।’
বিটিআরসি জানিয়েছে, আগামী মাসগুলোতে সিম ও মোবাইল ডিভাইস একত্রে ট্র্যাকিংয়ের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে, যাতে অবৈধ বা নিবন্ধনবিহীন সিম ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ। অথচ প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, ৬ থেকে ১০টি সিম আছে প্রায় ১৬ শতাংশের, আর ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক। ছবি: সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!