রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক একজনের ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় ডিএমপি।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের বি বøকের বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি নামের দোকানে ঢুকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে যুবদল নেতা কিবরিয়াকে হত্যা করে। এই ঘটনায় তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অজ্ঞাতনামা আসামি ৭-৮ জন। সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িত ব্যক্তিদের দ্রæত গ্রেফতারের লক্ষ্যে মামলাটি ডিএমপির ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি গতকাল বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নজরুল, মাসুম ও জামানকে গ্রেফতার করে।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেফতার ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। কিবরিয়া হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি মোক্তারের হেফাজতে আছে বলে জানান তারা। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্লবীর একটি গ্যারেজে অভিযান চালায়। ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কৌশলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা মোক্তারকে মারধর করেন।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোক্তারের তথ্যের ভিত্তিতে পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে পিস্তলের আটটি গুলি উদ্ধার করে ডিবি। পরে মোক্তারকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মোক্তার অসুস্থবোধ করেন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিছু ওষুধ দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন। তাকে আবার ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খাবার খাওয়ার জন্য মোক্তারকে ডাকাডাকি করা হয়। কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা দ্রæত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ময়নাতদন্তের জন্য মোক্তারের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি।
এ ঘটনায় ডিএমপির পক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, এই তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার।

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :