৫ ই আগষ্টের পর থেকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক যখন অভিভাবক শূন্যতায় ভুগছিলো, যখন তৎকালীন ফ্যাসিস্ট মদদপুষ্ট ম্যানেজমেন্ট দিনের পর দিন অফিসে যোগ না দিয়ে পালাতক ছিলেন, তখন ১৭ বছর যাবত আওয়ামী দুঃশাসনে নির্যাতিত/ নিষ্পেষিত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্য থেকে ব্যাংককে বাঁচাতে সমগ্র কৃষি ব্যাংকের হাল ধরেছেন শ্রদ্ধেয় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত ডিজিএম জনাব জাহিদ হোসেন। উনার নেতৃত্বে এক ও অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম জাতীয়তাবাদ ফোরাম গঠিত হয়েছে যার প্রধান সমন্বয়কারী জাহিদ হোসেন। গত ১৭ বছরে জাতীয়তাবাদের আদর্শে বলীয়ান ও অন্যান্য সকল সাধারণ বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে তাদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উনি। কৃষি ব্যাংকের কর্মীবান্ধব সকল কাজের অগ্রনায়ক জনাব জাহিদ হোসেন। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর উনি হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অসংখ্য কর্মীবান্ধব গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
১।সর্বোচ্চ সংখ্যক পদোন্নতি বিশেষ করে সুপারভাইজার (ভূতাপেক্ষা পদোন্নতি), অফিসার যাদের কথা বিকেবিতে কেউ ভাবে না।
২। অফিসের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সাধন করা এবং কর্মীদের জীবনমান উন্নয়ন করার জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণের কর্তন সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা।
৩। বিকেবির স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ সংখ্যক পদ সৃষ্টি করে অর্গানোগ্রাম এর প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ ও তা মন্ত্রণালয়ে পাশ করানোর জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে লেগে থাকা উনারই অন্যতম অবদান। এর মাধ্যমে অফিসারদের পদোন্নতির যে বিশাল জট সৃষ্টি হয়েছে তা অচিরেই নিরসন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
৪। বিকেবিতে পিএফের কর্তন,আহার ভাতা বৃদ্ধি, ক্লোজিং ভাতা বৃদ্ধি সহ বহু কর্মীবান্ধব সার্কুলার এসেছে জাহিদ হোসেন এর নেতৃত্বে।
আশা করা যাচ্ছে আগামী অর্থবছরেও আরও অনেক কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধব কর্মসূচী উনার হাত ধরেই বাস্তবায়ন হবে। শুধু তাই নয় জাহিদ হোসেন ব্যাংকিং পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তার প্রায়োগিক খেলাধুলার মাধ্যমে দেশের মুখ বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করেছেন। আন্তর্জাতিক ব্রিজ বিশ্বকাপে তিনি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং আগামী আগষ্টে ডেনমার্ক অনুষ্ঠিতব্য ব্রিজ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলায় উনি ও উনার দল উনার নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করবেন।
এতোকিছু করার পরও কৃষি ব্যাংক জাতীয়তাবাদের প্রাণপুরুষ জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময়ে বহু মনগড়া ও অসত্য গুজব ছড়িয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র করেই চলেছেন।তারা বেশিরভাগই ফ্যাসিবাদের দোসর ও সুবিধাপ্রাপ্ত দালাল। কিছুদিন আগেও জাহিদ হোসেনকে না জানিয়ে একদল বিপথগামী উর্ধ্বতন অফিসাররা জিয়া পরিষদ নামক জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী সংগঠন এর একটা পকেট কমিটি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষকে ভুলভাল বুঝিয়ে অনুমোদন নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই বিতর্কিত কমিটি থেকে দুজন সময়ের সংগ্রামী সক্রিয় সাবেক ছাত্রদল নেতা পদত্যাগ করেন। পরে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবগত করালে সেই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয় এবং বাতিল করা হয়। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই জনাব জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে সাচ্চা জাতীয়তাবাদী সকল ত্যাগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে সকলের গ্রহণযোগ্য একটা কমিটি গঠন করা হবে। কৃষি ব্যাংকের বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরামের সকল অফিসাররা (মোট জনবলের ৫২% কর্মকর্তা) জাহিদ হোসেনের সাথে আছে এবং থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বিকেবির সামগ্রিক উন্নয়নে ডিজিএম জাহিদ হোসেনের কোনো বিকল্প নাই।
আপনার মতামত লিখুন :