রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সেই স্বৈরাচার পতন দিবস আজ

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ১০:৩৭ এএম

সেই স্বৈরাচার পতন দিবস আজ

রাজনৈতিক ইতিহাসের দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ। ১৯৯০ সালের এই ৬ ডিসেম্বরে গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক লে:জেনারেল এইচ এম এরশাদ পদত্যাগ করে অস্থায়ী সরকারের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে ৯ বছরের স্বৈরশাসনের, আবারও গণতন্ত্রের পথে হাঁটা শুরু করে দেশ।
এইচ এম এরশাদ এর আগে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক আইন জারি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে চলা তার শাসনের বিরুদ্ধে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন বামপন্থি দলের টানা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এ আন্দোলনে ডা. শামসুল আলম খান মিলন, নূর হোসেনসহ অসংখ্য মানুষ জীবন উৎসর্গ করেন।
১৯৯০ সালের ২১ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলন যখন তীব্র আকার ধারণ করে, সে সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের নেতৃত্বে পাঁচটি বামপন্থি দল যৌথভাবে একটি রাজনৈতিক রূপরেখা ঘোষণা করে। যদিও জামায়াতে ইসলামী ওই তিন জোটের বাইরে ছিল, তবুও তারা এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
স্বৈরশাসকের পতন ঘটলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিন জোটের ঘোষিত সেই রূপরেখার পূর্ণ বাস্তবায়ন আর হয়নি। কার্যকর সংসদ, আইনের শাসন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও টেকসই গণতন্ত্র এই বিষয়গুলো এখনো অনেকাংশে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রয়েছে। এই দিবসটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে থাকে। বিএনপি দিনটিকে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ নামে পালন করে থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। গড়ে তুলেন এক দুর্বার গণআন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র।’ফাইলছবি
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!