চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সাততলার পুরো ভবনটিতে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। থেমে থেমে কারখানাটির ভেতরে বিস্ফোরণ হচ্ছে।
আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে এক পাশে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তারা। এর মধ্যে আগুন পাশের একটি তিনতলা ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে ওই এলাকার অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুন লাগে। অ্যাডামস তোয়ালে, ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিক্যাল গাউন তৈরির কারখানা। কারখানা ভবনটি সাততলার। দুটি কারখানার গুদামই সাততলায়, যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর চারটি ইউনিট।পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম তদারকি করছেন। কিন্তু প্রচন্ড তাপ আর ঘন ধোঁয়ায় আগুন নেভানোর চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও কারখানার মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে নেই। সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।অগ্নিকান্ড নেভাতে একটি রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আগুন নেভাতে একটি রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। এটিতে লাগানো পাইপ দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছেটানো হচ্ছে।’
তিনি জানান, এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ওই কারখানা থেকে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিক নিয়েজিত ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে এবং শ্রমিকরা ভবনটি থেকে নেমে যান।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবহান বলেন, ‘আশপাশের কোনো কারখানা খোলা রাখা হয়নি। সেগুলোতে যাতে আগুন না লাগে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :