২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে থেকে প্রকাশিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেসবুক পেজে নির্বাচনী প্রচারণার ঘোষণার পাশাপাশি একটি সংক্ষিপ্ত টিজার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকন্ডের ঘটনার তদন্তের সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ড.খান সুবায়েল বিন রফিক সবাইকে এ প্রচারণায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।তিনি এই নির্বাচনের গুরুত্বকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বার্তা অনুযায়ী,‘২০২৬সালের ফেব্রæয়ারিতে আমরা সকলেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে যাব।এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের দেশের মালিকানা পুনরায় ফিরে পাবেন।’ 
টিজার ভিডিওটি ২০২২ সালে তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যও দেখিয়েছে।
সেখানে তিনি বলেছেন, ‘যখন আমি নয়াদিল্লি গিয়েছিলাম, আমি ভারতীয় সরকারকে বলেছিলাম যে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করা আবশ্যক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে এবং সত্যিকারের কমিউনালিজমমুক্ত দেশ হবে।’
এরপর টিজার ভিডিওতে দেখা যায় অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন খান সুবায়েল বিন রফিককে সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে, ‘সব অতীতের অধ্যায়কে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আজ তার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে আপনাদের দেশের মালিকানা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
নির্বাচন ২০২৬—দেশের চাবি আপনার হাতে। আপনাো ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান।’ ৪৮ সেকেন্ডের ক্লিপটি ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’¯েøাগান দিয়ে শেষ হয়। 
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খালিলুর রহমানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রæয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। তা ছাড়া তিন বাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টাকে নির্বাচনের জন্য বাহিনী কর্তৃক নেওয়া সব প্রস্তুত সম্পর্কে জানান। 
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে সেজন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।প্রধান উপদেষ্টা বলেন,‘ফেব্রæয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ,শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বতীকালীন সরকার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।’
 

              
                        
ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
                            
                                          
                                          
                                          
                                          
                                          
                                          
                                          
                                          
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার মতামত লিখুন :