রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না : ফায়ারের পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম

ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না : ফায়ারের পরিচালক

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন,শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে যদি ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম থাকত, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা হতো না। এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা পাইনি। ভবিষ্যতে এখানে এ ধরনের সিস্টেম স্থাপন করা জরুরি।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমের সমাপনী ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মোট ৩৭টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। শনিবার দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে আমরা খবর পাই এবং সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করি।
তিনি বলেন,কার্গো ভিলেজের কাস্টমস হাউসের অংশে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।ভবনটি বিভিন্ন ছোট ছোট কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা ছিল এবং ভেতরে প্রচুর দাহ্য (কম্বাসেবল) ও হ্যাজার্ডাস উপাদান ছিল। এজন্য অকুপেন্সি লোড অনেক বেশি ছিল এবং এ কারণেই আগুন নির্বাপনে অনেক বেশি সময় লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, ভবনটি স্টিল স্ট্রাকচারের তৈরি। এসব ধাতব অংশ আগুনের তাপ শোষণ করে রেখেছিল, এখনো তা ধীরে ধীরে তাপ ছাড়ছে। এজন্য বাইরে থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছ।, তবে আগুনের কোনো শিখা জ্বলন্ত নেই বা নতুন আগুনেরও আশঙ্কা নেই। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট সতর্ক অবস্থানে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ধোঁয়া দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কিছু বক্তব্যে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। কোথাও থেকে কোনো বাধা বা বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার টিম ও আমাদের ফায়ার সার্ভিস পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করে। এখানে ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতিতে নিয়মবিরোধী কিছু হয়নি।
ভবনের স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আগুনের উচ্চ তাপমাত্রায় কিছু কলামে ফাটল ধরেছে, ভবন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আমরা কাজ করেছি বলে বুঝতে পারছি এটি এখনো আংশিক স্থিতিশীল। তবু কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রæত কাঠামোগত জরিপ করে ঝুঁকি নিরূপণ করা।
তিনি আরও জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা তদন্তাধীন। এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বিস্তারিত যাচাই করে প্রতিবেদন দেবে।
ঘটনাস্থলে থাকা ওষুধ, ফার্মাসিউটিক্যাল ও অন্যান্য পণ্য থেকে কিছু বাই-প্রোডাক্ট কেমিক্যাল তৈরি হতে পারে বলে ধারণা দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক। তিনি বলেন, তবে এটা মিরপুরের কেমিক্যাল গোডাউনের মতো উচ্চ তেজস্ক্রিয় কোনো ঘটনা নয়। বাতাসে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিপজ্জনক মাত্রা পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য এবং আনসারের কয়েকজন সদস্য হালকা আহত হয়েছেন বলে জানান তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, সিগনিফিকেন্ট বা বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ ঘোষণা করছি। ধোঁয়া কিছুটা থাকবে,তাই চারটি ইউনিট এখানে প্রস্তুত থাকবে ভবিষ্যতের যেকোনো অনাকাঙ্খিতত পরিস্থিতি মোকাবিলায়।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!