রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২

হাদি হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে আটকের তথ্য নেই: মেঘালয় পুলিশ

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম

হাদি হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে আটকের তথ্য নেই: মেঘালয় পুলিশ

ডেইলিণ খবর ডেস্ক: এবার ভারতের মেঘালয় পুলিশ জানিয়ে দিলো ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদেও কাউকে আটকের তথ্য মেঘালয় পুলিশের কাছে নেই। হাদিও হত্যাকারী ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যাওয়ার দাবি নাকচ করেছে রাজ্য পুলিশ। একইসঙ্গে সেখানে এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটকের কথাও অস্বীকার করেছে তারা। এমনকি ভারতের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্সের ব্যুরোর (আইবি) কাছেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই বলে জানা গেছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া জবানবন্দি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ঘটনার পর পরই হাদি হত্যার দুই প্রধান আসামি ফয়সাল ও আলমগীর ঢাকা থেকে সিএনজি করে আমিনবাজারে যায়।পরবর্তীতে সেখান থেকে মানিকগঞ্জের কালামপুর যায়। সেখান থেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাইভেটকারে করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পৌঁছে। আসামিদের চিহ্নিত করার আগেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। 
হালুয়াঘাটের আগে মুন ফিলিং স্টেশনে ফিলিপ এবং সঞ্জয় নামে দুই ব্যক্তি তাদের গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। ফিলিপ তাদের সীমান্ত পার করার পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পুত্তি নামে এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে। পুত্তি ট্যাক্সি ড্রাইভার সামীর কাছে তাদের হস্তান্তর করে। সামী মেঘালয় রাজ্যের তুরা নামক জায়গায় তাদের পৌঁছে দেয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন,আমরা অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, তারা ইতোমধ্যে পুত্তি ও সামীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা সন্দেহ করি আসামিরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
তবে মেঘালয় মনিটরকে রাজ্য পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) ইদাশিশা নংরাং বলেন,এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। অন্যদিকে বিএসএফের মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ওপি উপাধ্যায় বলেছেন, এই দাবি সত্য নয়। এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বানোয়াট।
আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে মেঘালয় পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, পুত্তি বা সামী নামে কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো প্রকার সমন্বয় ছাড়াই এই তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন শরিফ ওসমান হাদি। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার অজ্ঞাত পরিচয় সহযোগী হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত অবস্থায় গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,হত্যাচেষ্টা ও বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। তবে হাদির মৃত্যুর পর গত ২০ ডিসেম্বর আদালতের আদেশে মামলায় দন্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।সংহীত ছবি

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!