ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর মধ্যে জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই ভোটে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আবার কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলেও সেখানে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকছে না। ভোটাররা সে আসনে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। ২০১৪ সালের পাতানো নির্বাচনের মতো যেন না হয়, সেজন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি প্রার্থী হতে পারবেন না। এমন সব বিধান রেখে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
এদিকে বিএনপির এক শীর্ষ নেতা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠকে প্রস্তাব করেছিলেন,জোটবদ্ধ হলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে বা নিজ দলের প্রতীকের বাইরে জোটের শীর্ষ বা মূল দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন। আইন উপদেষ্টা এ প্রস্তাবে তখন মৌখিকভাবে সম্মতিও জানান; কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে গতকাল সংশোধিত আরপিও অনুমোদনের পর বিএনপির ওই শীর্ষ নেতা আইন উপদেষ্টার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন। জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে বিষয়টি সংশোধন করে ফের প্রস্তাব দিলে তা বিবেচনা করা হবে।
এমন পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা পরিষদে সংশোধিত আরপিও অনুমোদন পেলেও বিষয়টি নিয়ে নতুন জটিলতা তৈরি হলো।
গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমির ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আরপিওর অনুমোদিত খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিন বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না।’

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :