শরীরের ওজন কমানোর জন্য শুধু গ্রিন টি নয়,হারবাল চায়ের জগতও সমানভাবে উপকারী। পিপারমিন্ট, হিবিসকাস, আদা-এর মতো ক্যাফেইন মুক্ত নানা ধরনের হারবাল চা ক্ষুধা কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে, মেটাবলিজম উন্নত করতে এবং মানসিক চাপজনিত খাওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, স্বাদে ও গুণে এই চায়ের বৈচিত্র্য আপনাকে প্রতিদিনের একই রকম চা বা গ্রিন টির একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেবে।
ওজন কমাতে সহায়ক ৭টি হারবাল চা
আদা চা
আদা শরীরের তাপমাত্রা ও মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে, যা ক্যালোরি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়া আদা প্রদাহ কমাতে কার্যকর, যা ওজন বাড়া ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সঙ্গে জড়িত। দিনের শুরুতে এক কাপ গরম আদা চা শরীরে শক্তি জোগায় এবং মেটাবলিজমকে স্বাভাবিকভাবে বাড়ায়।
পিপারমিন্ট চা
তাজা ও সুগন্ধি এই চা প্রাকৃতিকভাবে ক্ষুধা কমায়। ‘নিউরোগাস্ট্রোএন্টেরোলজি অ্যানড মোটিলিটি’তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পিপারমিন্ট অয়েল ক্যাপসুল ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে। এর গন্ধই মনকে তৃপ্ত করে, আর এর উপাদান হজম শক্তি বাড়িয়ে ফাঁপা ভাব কমায়। ডায়েটিশিয়ান ও সার্টিফায়েড ডায়াবেটিস এডুকেটর ডা. অর্চনা বাত্রা জানাচ্ছেন, যারা অযথা বারবার খাবার খেতে চান বা খাবারের পর ভারি ভাব অনুভব করেন, তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।
দারুচিনি চা
দারুচিনি চা ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।ক্লিনিকাল নিউট্রিশন ইএসপিইএনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনি ফ্যাট মাস ও কোমরের মাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে ডা. বাত্রা পরামর্শ দিচ্ছেন, দারুচিনি চা পরিমিত পরিমাণে পান করতে, কারণ অতিরিক্ত গ্রহণে রক্তক্ষরণ বা লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মৌরি চা
হালকা মিষ্টি-লিকোরিস স্বাদের এই চা হজমশক্তি উন্নত করে ও পেটের ফাঁপা ভাব কমায়। এছাড়া এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে রাতের বেলা বা খাবারের মাঝখানে অযথা খাওয়ার প্রবণতা কমে।
হিবিসকাস চা
টক-মিষ্টি স্বাদের এই চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ডা. বাত্রা বলছেন, হিবিসকাস শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল কমাতে সাহায্য করে, যা পেটের মেদ জমার একটি বড় কারণ। একই সঙ্গে এটি হালকা ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে,অতিরিক্ত পানি বের করে ফোলাভাব কমায়। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :