মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

সকালের কফিতে এক চামচ ঘি মেশানো কেন জনপ্রিয় হচ্ছে? জেনে নিন উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ১০:০২ এএম

সকালের কফিতে এক চামচ ঘি মেশানো কেন জনপ্রিয় হচ্ছে? জেনে নিন উপকারিতা

ঘি মেশানো  কফির উপকারিতা দিনের শুরুতেই। এক কাপ কফি অনেকের কাছেই শুধু পানীয় নয়, বরং এক অপরিহার্য অভ্যাস। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই পরিচিত কফিতেই নতুন এক সংযোজন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা, অনেকেই এখন কফির কাপে এক চামচ ঘি মেশাচ্ছেন। ‘ঘি কফি’ বা ‘বুলেটপ্রæফ কফি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই পানীয়টি স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর বলে দাবি করছেন পুষ্টিবিদরা।
ঘি বহু শতাব্দী ধরে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এখন সেই ঘি কফির সঙ্গে মিশে তৈরি করছে এক ধরনের ক্রিমি ও এনার্জি-বুস্টিং পানীয়, যা সাধারণ কফির মতো হঠাৎ শক্তি বাড়িয়ে আবার দ্রæত ক্লান্ত করে ফেলে না।
ঘি কফি কী? ঘি কফি সাধারণত তৈরি হয় গরম কফির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে। অনেক ক্ষেত্রে এতে নারকেল তেল বা এমসিটি (মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড) অয়েলও যোগ করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি পানীয় তৈরি করা, যা দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি জোগাবে এবং মানসিক সতর্কতা বজায় রাখবে।
ঘি কফির উপকারিতা-দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়: ঘিতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, বিশেষ করে বুটিরেট শরীরে ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। ফলে সাধারণ কফির মতো হঠাৎ শক্তি বাড়ার কিছুক্ষণ পরই ক্লান্তি আসে না।
মনোযোগ ও মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ায়: ঘির ফ্যাট শরীরে কিটোনে রূপান্তরিত হয়ে মস্তিষ্কের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। এতে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও মানসিক স্পষ্টতা বাড়তে পারে।
হজমে সহায়ক: ঘি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে পরিচিত। এতে থাকা বুটিরেট অন্ত্রের আস্তরণ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে: ঘি কফি পেট ভরা অনুভূতি দেয়, ফলে অপ্রয়োজনীয় খিদে ও খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমতে পারে। কিটোজেনিক বা লো-কার্ব ডায়েট অনুসরণকারীদের মধ্যে এ কারণে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ: ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে—যেগুলো ফ্যাট-দ্রবণীয়। কফির সঙ্গে ঘি মিশলে এসব পুষ্টি উপাদান শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়।
‘ঘি কফি’ পানে কারা সতর্ক থাকবেন? বেশিরভাগ মানুষের জন্য ঘি কফি নিরাপদ হলেও যাদের দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি আছে বা বিশেষ কোনো স্বাস্থ্যসমস্যা রয়েছে, তাদের এই কফি পানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কতটা ঘি ব্যবহার করবেন? শুরুতে এক চা-চামচ ঘি দিয়ে কফি বানানোই যথেষ্ট। অতিরিক্ত ঘি কফিকে অতিরিক্ত ভারী করে তুলতে পারে। সব মিলিয়ে, ঘি কফি কোনো ক্ষণস্থায়ী ট্রেন্ড নয় বলেই মনে করছেন অনেক পুষ্টিবিদ। নিয়মিত কফিতে সামান্য এই পরিবর্তন স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের জন্যও উপকারী হতে পারে। উল্লেখ্য,থমবার ঘি কফি পানের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন বলিউড তারকা সোহা আলী খান। সূত্র: এনডিটিভি

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!