দেহে যকৃৎ বা লিভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি আকারে ফুটবলের মতো, যা পাঁজরের খাঁচার নিচে ও পেটের ডানদিকে থাকে। এর কাজ হচ্ছে খাবার হজম করা এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত রাখা। যেকোনো অবস্থা বা রোগ শরীরের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গকে প্রভাবিত করে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।একাধিক পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন জেনেটিক্সের মাধ্যমে বংশগতভাবে লিভার রোগ হতে পারে। আবার লিভারের ক্ষতি করে এমন কর্মকান্ড থেকেও এর রোগ হতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান বা ভাইরাস, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য ইত্যাদি। লিভারের ক্ষতি থেকে জীবন হুমকির মুখে পড়ে থাকে। এ জন্য সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় নজর দিতে বলে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
লিভার সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত,এ ব্যাপারে হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পুষ্টিবিদ প্রতিমা নাগরাজ লিভার সুস্থ রাখতে করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছেন, পেট ফাঁপা, অলস ও ওজন কমাতে অক্ষম বা পিএমএস, হরমোনজনিত সমস্যা,মাসিকের অনিয়ম,ব্রন,মেজাজ পরিবর্তন, সিস্ট ও ইস্ট্রোজেনের আধিপত্যের মতো লক্ষণের মুখোমুখি হলে লিভার আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করছে। লিভার ভালো রাখতে খাদ্যতালিকা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছেন এ পুষ্টিবিদ।ক্রুসিফেরাস সবজি: সালফার যৌগ সমৃদ্ধ, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও কেলের মতো সবজি লিভারে ডিটক্সিফিকেশন ও ইস্টোজেন বিপাককে সহায়তা করে। এ জন্য লিভার ভালো রাখতে এ জাতীয় সবজি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।লিভারবান্ধব ভেষজ খাবার: এ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে মিল্ক থিসল, ড্যান্ডেলিয়ন, লিকোরিস, বারডক ও হলুদের মতো ওষধি ভেষজ লিভারের বিষমুক্তি নিশ্চিত করে থাকে।
সকালে হালকা গরম পানি পান: দিনের শুরুতে হালকা গরম লেবু-পানি পানের কথা প্রায় সবাই জানেন। এই পানীয় লিভারের কার্যকারিতাকে আলতো করে উদ্দীপিত করে, হজমে সহায়তা করে এবং শরীর থেকে প্রাকৃতিকভাবে বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করতে সহায়তা করে।লিভারে চাপ সৃষ্টিকারী উপাদান এড়িয়ে চলা: লিভারের ক্ষতি করে এমন সব খাবার যেমন-অতিরিক্ত চিনি, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও জাঙ্ক ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার লিভারে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে, ডিটক্সিফিকেশন গতি ধীর করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। এ জন্য এসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :