মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

সকালের নাশতায় প্রতিদিন কলা খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর, খেলে কী ঘটে শরীরে

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ১১:০০ এএম

সকালের নাশতায় প্রতিদিন কলা খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর, খেলে কী ঘটে শরীরে

সকাল হচ্ছে দিনের শুরু। ঘুম থেকে উঠার পর দাঁত ব্রাশের পর খাবার খেয়ে শুরু হয় সারাদিনের পরিকল্পনা। কখনো কখনো আগের দিন বা রাতের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে বের হন। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, সারাদিন সময়মত খাবার খাওয়া হয় না। কখনো কখনো খাওয়া হলেও তা ভালো হয় না বা স্বাস্থ্যকর থাকে না। এ জন্য সকালের নাশতায় কী খাচ্ছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ।
সকালে অনেক সময়ই ব্যস্ততার কারণে অল্প করে নাশতা করা হয়। এ সময় কলা ফলটি বেছে নিয়ে থাকেন অনেকে। কেউ কেউ অবশ্য স্মুদি, ওটস-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারও খেয়ে থাকেন। তবে কলা খাওয়াও বেশ উপকারী। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে, সকালে কলা খাওয়া হলে কী হয়? এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাহলে জেনে নেয়া যাক।
শক্তি বৃদ্ধি ও ক্লান্তি দূর: কলা খুব মিষ্টি ফল। প্রতিদিন সকালে কলা খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু মিষ্টির থেকেও বেশি কিছু করে। এটি আপনাকে আশ্চর্যজনকভাবে ভেতর থেকে শক্তি সরবরাহ করে। আপনার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। মেজাজও ভালো করে। এ জন্য সকালের নাশতা হিসেবে নাশতায় কলা রাখতেই পারেন।
কলা হচ্ছে প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট এবং বি ভিটামিন (বি৬, বি১) সমৃদ্ধ ফল। যা অল্প সময়ে আপনার শক্তি বৃদ্ধি করে। চিনিযুক্ত ক্যাফেইনের মতো না হলেও এটি আপনাকে কিছুটা সক্রিয় করে। কলা আপনার শরীরে ফাস্ট চার্জিং ব্যাটারির মতো। আবার কলা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি চিনির বিপরীতেও কাজ করে। চিনির শোষণকে ধীর করতে সহায়তা করে কলার ফাইবার।
অন্ত্রের জন্য দুর্দান্ত: একটি কলায় ফাইবার থাকে মাত্র ৩-৫ গ্রাম (পাকার ওপর নির্ভর করে)। যা আপনার অন্ত্রকে সচল রাখতে ও পেট পরিপূর্ণ রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা কলায় রোগ প্রতিরোধী স্টার্চ থাকে, এটি বিশেষ ধরনের ফাইবার। যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে জ্বালানি সরবরাহে কাজ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: প্রতিটি কলায় প্রায় ৩৮০ থেকে ৪২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। আর উচ্চ পটাশিয়ামের জন্য কলার শক্তিশালী উপাদানগুলো অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দেয়। ফলে রক্তনালীগুলো শিথিল হয়। পটাশিয়াম রক্তচাপ ও পেশীগুলোর টান নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং সোডিয়ামের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার কলায় দ্রবণীয় ফাইবার ও স্টার্চ উভয়ই রয়েছে, এ জন্য এই ধরনের ফাইবারের সংমিশ্রণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
মুড ঠিক রাখতে কলা: কলা শুধু মিষ্টিজাতীয় ফলই নয়, এটি আপনার মেজাজও ভালো করে। ভিটামিন বি৬ এবং ট্রিপটোফ্যান ধারণ করে, যা সুখী হরমোন সেরোটোনিন ও ডোপামিনের বাহক। উচ্চমাত্রা সুগার ছাড়াই আপনার অজান্তেই মেজাজ খারাপ হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকারক। তবে গবেষণা বলছে, কলা খাওয়ার এবং বিষন্নতার লক্ষণগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য ইতিবাচক সংযোগ রয়েছে। তাই মুড চার্জিংয়ে কলা খেতে পারেন।
অন্যান্য উপকারী: কলায় বিদ্যমান ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আপনার শরীরকে প্রতিদিনের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।পাশাপাশি এটি ভালো কার্বোহাইড্রেটেরও একটি ভালো উৎস। কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকলেও প্রোটিন বা ফ্যাটের (বাদাম বা দই) সঙ্গে এটি মিশিয়ে খাওয়া হলে সুগার নিঃসরণ ভারসাম্য হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!