পরিবারের সকালের নাশতায় যেকোনো ধরনের খাবারের ওপর বিভিন্ন ধরনের বীজ ছড়িয়ে দেয়া অনেকেরই অভ্যাস। এতে খাবারগুলো দেখতে শুধু সুন্দর লাগে না, বরং খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়তি পুষ্টিও যোগ হয়। রকমারি বীজ থাকলেও সাধারণত চিয়া, তিসি, সূর্যমুখীর মতো বীজগুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
পুষ্টিবিদদের মতে, সব বীজেরই নিজস্ব গুণাগুণ থাকে। তবে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে বাছাই করে নেয়া ভালো। কোনো বীজ খেতে হবে, এতে কী উপকার এতে কী উপকার, সে ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চিকিৎসক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার পালানিয়াপ্পান মনিক্কমের পাস্ট করা ভিডিও অনুযায়ী প্রতিবেদনটিতে পাঁচটি বীজের কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব বীজ হলেও তা মানবদেহের জন্য ‘পাওয়ার হাউজ’। তাহলে বীজগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
কুমড়া বীজ: এই বীজ ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়ামের উৎস। যা হাড়ের ক্ষয় রোধে ভূমিকা রাখে। আবার ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে এই বীজে। যা অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। একইসঙ্গে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন নামক দুটি হরমোনের সক্ষমতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
চিয়া সিড: চিয়া সিডসে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা হার্ট ও মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো রাখতে খুবই উপকারী। আবার সলিউবল ফাইবার রয়েছে। এসব উপাদান অন্ত্র ছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। চিয়া সিড পানি শোষণ করে ফুলে জেলির মতো থকথকে হয়। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে।
তিসি বীজ: আলফা-লিনোরেনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ তিসি। এই বীজ শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফাইবার সমৃদ্ধ তিসি বীজ ওজন কমাতে কার্যকরী। রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে হার্টেরও যতœ নেয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা এই বীজ খেতে পারেন। এতে থাকা সলিউবল ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে কাজ করে।
সূর্যমুখী বীজ: ভিটামিন ই, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ সূর্যমুখী বীজ। পলি আনস্যাচুরেটেড ও মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের উৎস এই বীজ। এসব ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া হলে করোনারি হার্টের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
তিল বীজ: প্রতিদিনের সাধারণ রান্নায় এখন আর তিল দেয়ার প্রচলন নেই। তিলের তেল দিয়ে রান্নার প্রচলনও বেশ পুরোনো। তিল হচ্ছে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এ জন্য নিয়মিত তিল খাওয়া হলে হাড় ভালো থাকে। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও রয়েছে। তাই তিল খেলে সামগ্রীকভাবে হার্ট ভালো থাকে। লিগন্যান্স নামক উপাদানও রয়েছে এই বীজে। যা হরমোনের সমতা বজায় রাখতেও বিশেষভাবে অবদান রাখে।
আপনার মতামত লিখুন :