চট্টগ্রামে নিজ মালিকানাধীন ব্যাংক ইউসিবিএল থেকে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাইনউদ্দীন কমিশনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন সাইফুজ্জামান জাবেদের স্ত্রী ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, তাঁর দুই ভাই সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আসিফুজ্জামান চৌধুরী, দুই বোন রোকসানা জামান চৌধুরী, আফরোজা জামান; ইউসিবি কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন– আবু হেনা ফখরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, জিয়াউল করিম খান, মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন, আব্দুল হামিদ চৌধুরী, বজল আহমেদ বাবুল, সাবেক পরিচালক আখতার মতিন চৌধুরী, এমএ সবুর, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, বশির আহমেদ, সৈয়দ কামরুজ্জামান, মো. শাহ আলম, জোনাইদ শফিক, কনক কান্তি সেন, অপরূপ চৌধুরী, তৌহিদ সিপার রফিকুজ্জামান এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি আরিফ কাদরী, আরামিট গ্রæপের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম, আব্দুল আজিজ এবং শাহরিয়ার হোসেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের নামে মডেল ট্রেডিং, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং ও রিলায়েবল ট্রেডিং নামে তিনটি নামসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর রিলায়েবল ট্রেডিংয়ের নামে ইউসিবিএল বন্দর শাখায় আবেদন করা হয় ২৩ কোটি টাকার টাইম লোনের। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ এ ঋণ চাওয়া হয়েছিল। ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ আবেদনকারীর কথিত ব্যবসা বিবেচনা করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সন্তোষজনক পরিদর্শন প্রতিবেদন দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে ৩৬০ দিনের জন্য ১৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। পরে এ টাকা আর পরিশোধ করা হয়নি। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে সে টাকা আত্মসাৎ করেন। এদিকে এ মামলার পর চট্টগ্রামের একাধিক সুত্র জানায় আক্তারুজ্জামান চৌধুরী মারা যাওয়ার পরে তার পুরো পরিবার চোর-দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটে পরিণত হয়। যে কারণে তাদের প্রতিষ্টা করা ব্যাংক থেকে জনগনের বা গ্রাহকের জমা রাখা টাকা নানারকম ফন্দিফিকির করে লুটে নিয়ে গেছে।

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :