সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

আ’লীগের তাজুলরাজ্যে লুটের সম্পদের গড়াগড়ি

আইন-অপরাধ ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ১০:৩১ এএম

আ’লীগের তাজুলরাজ্যে লুটের সম্পদের গড়াগড়ি

সরকারী চাকরি শেষে আওয়ামী লীগে এসে আর পিছে তাকাতে হয়নি তাজুলের। সম্পদের লোভে আলাদিনের চেড়াগটি লুটে নিয়ে নেয়। আওয়ামী লীগের টিকেট পেয়ে এম-িমন্ত্রী সবই তিনি পেয়েছেন, যতদিন মন্ত্রী-এমপি ছিলেন ততদিন রাক্ষুসের মতো শুধু গিলেছেন। কেই কিছু বললে তাকেও খেয়ে ফেলতেন। এমন ছোটলোক কিভাবে বড় লোক হলেন তার ইতিকথা নেই, আছে লম্বা ইতিহাস। আওয়ামী লীগ করে তিনিসহ গোটাপরিবার নিয়ে সম্পদের ভেলায় ভাসছেন তাজুল। নিজের এতটাই সম্পদের মালিক হয়েছেন যে হিসাব রাখাতে গিয়েও গাম জড়াচ্ছেন নানা সংস্থা। নিজেই একাই লুটে নেননি সাথে রেখেছেন সাঙ্গপাঙ্গ-চেলা-চামুন্ডা। পরিবারের কেই বাদ যায়নি সম্পদের পাহাড় তৈরীতে। মানুষ বলছে নম্পদের স¤্রাজ্যে তাজুলের জাদুর নহর।
স্থানীয়দের সুত্রের অভিযোগ তিনি স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ডান হাতের পাঁচ আঙুলে ফুলে উঠেছিলেন। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ ও লাকসামে তাজুলরাজ্যও ফুলে উঠেছিল অবৈধ অর্থে। ২০টির বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক হলেও তাজুল আরো লাভের লোভে অবৈধ বাণিজ্য গোছাতেন এই পাঁচ আঙুলে। আর এই পাঁচ আঙুলের মতো তাঁর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাঁর ভাতিজা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. কামাল হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) জাহিদ হোসেন আর শ্যালক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী।তাঁরাই তাজুলের নির্দেশে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা শাসাতেন। বিরোধীদের দমনে পীড়ন চালাতে তৈরি করা হয়েছিল আয়নাঘর। জমি দখল, কমিশন-বদলি-নিয়োগ-বরাদ্দ বাণিজ্য চলত পাঁচজনের নেতৃত্বে বিভিন্ন উপগ্রæপের মাধ্যমে। মন্ত্রী থাকাকালে তাজুল কুমিল্লার ১৭ উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পৌরসভা, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজের অর্থ নিতেন পাঁচজনের মাধ্যমে।
এসব প্রতিষ্ঠানের কমিশনসহ বিভিন্ন খাতের অর্থ তাজুলের দপ্তরে যেত। সেই অবৈধ অর্থ গুনে গুনে রাখতেন ভাতিজা শাহাদাত। তিনি ছিলেন পরামর্শক ও হিসাবরক্ষক। এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পে ১০ শতাংশ হারে কমিশন আদায় করা হতো।তা শাহাদাতের সঙ্গে বসে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফেবিয়ান গ্রুপের ভবনে বসে ঠিকঠাক করত। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বা ওয়াসার তদবির বাণিজ্যের অলিখিত চুক্তি শাহাদাতের মাধ্যমে একই ভবনে চলত। সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলি-দরপত্র-নিয়োগ বাণিজ্য, প্রকল্পের বরাদ্দ—এসব নিয়ন্ত্রণ করতেন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) জাহিদ হোসেন ও ভাতিজা আমিরুল ইসলাম। মন্ত্রীর কাছে ভিড়তে হলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই হতো। না হলে ‘কাজ’ হতো না।
তবে তাঁদের ইশারা দিতেন শাহাদাত। জানা গেছে, এলজিইডির প্রকৌশলীর বদলি বাবদ কমপক্ষে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হতো। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বা প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে এই হার কোটি টাকাও ছাড়াত। কামালসহ চক্রের অন্য সদস্যরা তা আদায় করত। ভুক্তভোগীরা জানান,তাজুলের ভাতিজা শাহাদাত ছিলেন মনোহরগঞ্জের অলিখিত প্রশাসক। উপজেলাজুড়ে জমি দখল, কথা না শুনলে বিরোধীদের অত্যাচার করার সিদ্ধান্ত তিনিই দিতেন। গত ইউপি নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত করা হবে প্রতিশ্রæতি দিয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকার ওপর হাতিয়ে নেন তিনি। তার ভাগ তাজুলের তহবিলেও গেছে। মনোহরগঞ্জের একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তিন মাস আগে থেকে বিনা ভোটে জয়ী হতে ইচ্ছুক মেয়র, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের একাধিক তালিকা জমা দেওয়া হতো তাজুলের কাছে। চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ লাখ, ইউপি সদস্য প্রার্থীর কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতে দিলেই নিশ্চিত হতো জনপ্রতিনিধি। শর্ত থাকত, যেকোনো উন্নয়ন বরাদ্দ ও টিআর-কাবিখা থেকে ২০ শতাংশ টাকা তাজুলের তহবিলে দিতে হবে। তাতে অবশ্য সহযোগিতা করতেন তাজুলের ভাতিজা শাহাদাত ও আমিরুল। লাকসাম বাজারে থানার পাশে ছিল শ্যালক মহব্বত আলীর আয়নাঘর। ভগ্নিপতি তাজুলের নির্দেশে সেখানে বসেও দুই উপজেলার দরপত্র ভাগ-বাটোয়ারা,চাঁদা আদায়, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ধরে এনে নির্যাতন চালানো হতো। মহব্বত সহযোগী নিজাম উদ্দিন শামীম ও ওমর ফারুককে দিয়ে গোবিন্দপুর ও কান্দিরপাড়ে খোলেন আয়নাঘরের উপশাখা। আয়নাঘরের মাধ্যমে বিপুল অর্থ নিতেন মহব্বত। ২০১২ সালে শ্যালক মহব্বতকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন তাজুল। ১০ বছরে লাকসামে কমপক্ষে ৫০টি পুকুর ভরাট করা ছাড়াও ফসলি জমি দখল করে বাণিজ্য করেছেন তিনি তাঁর ভগ্নিপতির প্রভাব কাজে লাগিয়ে। লাকসাম পৌর জামায়াতের আমির মো. জয়নাল আবেদীন কালের কণ্ঠকে বলেন, সাড়ে ১৫ বছরে তাজুল বাহিনীর অত্যাচারে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। গোয়ালঘর থেকে গরু, জমি থেকে কৃষকের ধানও কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিরোধীদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ জানালে নেওয়া হতো আয়নাঘরে। লাকসাম বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রহমান বাদল বলেন, লাকসামের নিয়ন্ত্রণ ছিল মহব্বত আলীর হাতে। তৎকালীন লাকসামের ওসি আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের সহযোগিতায় থানার পাশেই গড়ে তোলেন আয়নাঘর। দুই উপজেলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে অন্তত ৪০০টি মামলা করে এলাকাছাড়া করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারে ২০১৩ সালে লাকসাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম হিরু ও পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবীর পারভেজকে বিনা করণে র‌্যাবের অভিযানে আটকের পর গুম করা হয়।
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন বলেন, তাজুল যাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলেন তাদের কয়েকজনকে জামিন করানোয় আমার বিরুদ্ধে ২৭টি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
তাজুল এলজিআরডিমন্ত্রী থাকাকালে সাড়ে পাঁচ বছরে কুমিল্লায় ডিপিএইচইর হাজার কোটি টাকার কাজ হয়। এই সংস্থা ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের প্রকল্পে ঠিকাদার নির্বাচন করতেন তাজুলের পিএস কামাল। নিতেন ১০ শতাংশ হারে কমিশন। কুমিল্লা এলজিইডি অফিস নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ঠিকাদারি,কমিশন বাণিজ্য ও দুর্নীতির হোতা কামাল এখন পলাতক। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানান, তাঁরাও কামালের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন। কুমিল্লা শহরেই কামালের কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ আছে। তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাস্টার এন্টারপ্রাইজ, এটি যাতে বেশির ভাগ কাজ পায় তার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতেন। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে এলজিইডির সব কাজ নিতেও তাঁর চেষ্টার কমতি ছিল না। কার্যাদেশ পাওয়ার পর তা ছোট ছোট ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করতেন। কামালের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর দুদক কুমিল্লার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা ৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার হাউজিং এস্টেটে কামালের আছে একাধিক বাড়ি, কান্দিরপাড়ে বিগ বাজার সুপার মার্কেট একাধিক ফ্ল্যাট।গত ২৭ অক্টোবর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন কুমিল্লার লাকসাম পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির আহমেদ।
স্ত্রীর নামেও জমি দখল : ২০১৯ সালে প্রায় ১০০ একর কেনা হলেও তাজুলের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে বান্দরবানের লামায় আরো প্রায় ৪০০ একর জমি দখল করা হয়। দখল করে জমির পরিধি ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নেওয়া হয়। তৈরি করা হয় বাংলোবাড়িও। তাতে চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা, কালভার্ট তৈরির খরচ অবশ্য জোগানো হয় এলজিইডি থেকেই।
তাজুল সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে নির্বাচন বমিশনে দেওয়া হলফনামায় যেসব তথ্য দিয়েছেন তা থেকে জানা গেছে, ১০ বছরেই তিনি ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে বহু সম্পদ রয়েছে, যা তিনি গোপন রেখেছেন। এসব সম্পদ বাড়িয়েছেন মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর হাতের পাঁচ আঙুলের মতো ঘনিষ্ঠ পাঁচজনকে দিয়ে। গত ১৫ এপ্রিল তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের ইজারা ও বায়না দলিলের বান্দরবানের ৩০৪.৫৯ একর জমি, ফ্ল্যাট ও ২৬টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া অস্থাবর সম্পদের তালিকায় রয়েছে ১২টি ব্যাংক হিসাব ও ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।জব্দ করা স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকার গুলশানে জমিসহ একটি ফ্ল্যাট, চট্টগ্রামের হালিশহরে চারতলা বাসার এক-তৃতীয়াংশ। এ ছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলায় ইজারা ও বায়না দলিল মূলে ৫৩টি দলিলের প্রায় ৩০৪.৫৯ একর জমি আছে।
জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়, ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ছয় কোটি ৯০ লাখ দুই হাজার চার টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা এবং তাঁর স্বামী মো. তাজুল ইসলাম কর্তৃক অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে বর্ণিত ছয় কোটি ৯০ লাখ দুই হাজার চার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলন করা হয়। সর্বমোট ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
তার আগে গত ১৩ এপ্রিল তাজুলের নামে থাকা ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের ২৮.৬৩ বিঘা জমি, কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় থাকা দুটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁর নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৫০টি ব্যাংক হিসাব ও শেয়ারে জমা ২৮ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
জানা গেছে, তাজুল ভারতে অবস্থান করছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ ফেবিয়ান গ্রæপের কো-অর্ডিনেটর মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শাহাদাত সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে কিছুদিন আগে। তাজুল স্যারসহ অন্যদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।’ জানা গেছে,তাজুলের ভাতিজা শাহাদাত ও অন্যরা পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও তাঁদের খোঁজ পাচ্ছেন না। স্থানীয়রা জানান তাজুলসহ তাদেও সকল চেলা-চামুন্ডাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। লুন্ঠিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত কওে রাষ্ট্রেে কোষাগাওে নেওয়া হোক। এমন সাজা দেওয়া হোক যাতে এই দেশে আগামীতে কেউ যেনো এমন লুট-দুর্নীতি করার সাহস না পায়।সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!