ডেইলিখবর প্রতিবেদক: অপরাধীদের কাছ থেকে ঘুষ, চাঁদাবাজি, আর্থিক অনিয়ম, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, মানিলন্ডারিং ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) পদস্থ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধানে মাঠে মেনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তাদের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের ১৩ জন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। জানা গেছে, সম্প্রতি ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ জমা হয় দুদকে। অভিযোগগুলোর গোপন অনুসন্ধান করে তাদের দুর্নীতির আমলযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযোগগুলো দুদকের মানিলন্ডারিং শাখা থেকে অনুসন্ধান শুরু করা হয়। ওই ১৩ পদস্থ কর্মকর্তার মধ্যে আছেন তিনজন অতিরিক্ত পরিচালক, ৬ জন যুগ্ম পরিচালক ও চারজন উপ-পরিচালক।
দুদক জানায়, তিনজন অতিরিক্ত পরিচালকের মধ্যে মো. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মানিলন্ডারিং এবং নিজ ও স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন; এম এস কে শাহীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, চাঁদাবাজি এবং মোহাম্মদ জহীর উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।
ছয় যুগ্ম পরিচালকের মধ্যে মো. ইসমাইল হোসেন, এফ এম আকবর হোসেন, মো. নাজমুল হক ও বদরুল আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জি এম রাসেল রানার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও মানিলন্ডারিং; শেখ শাফিনুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নিজ ও তার স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
চারজন উপ-পরিচালকের মধ্যে কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি,সরকারি অর্থ আত্মসাৎ,আমিনুল হক ও শেখ খাইরুল বাসারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, জহরলাল জয়ধরের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত, মো. আহসান উদ্দিন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক এস. এম. মামুনুর রশীদ, বিলকিস আক্তার, মো. সেলিম মিয়া, বিলকিস আক্তার, মাহমুদুল হাসান, উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন, মো. সজীব আহমেদ,হাফিজুর রহমান ও মো. আবুল ফয়েজ।ফাইলছবি

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :