শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১০:১৭ এএম

বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট


পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মাসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার এক রিট আবেদেনের শুনানি শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ২২ এপ্রিল সোমবার সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার হোসেন ও মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও মো. সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তিনি ও তার স্ত্রীর শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। রিটের পর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকরিটের পর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক এসব খবরের প্রেক্ষিতে সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান। এই রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তবে এই রিট দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তিন সদস্যের একটি কমিটি অনুসন্ধান শুরু করেছে। 
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান রোববার চিঠি দেন সংসদ সদস্য ও আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।আর অনুসন্ধান শুরু না করলে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এরপর সোমবারই আদালতে রিট করা হয়। অনুসন্ধানে শুরু করতে কেনো এতোটা সময় নেয়া হলো-এ প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব খোরশেদা বলেন, ঈদের ছুটি ও প্রস্তুতির কারণে সময় লেগেছে। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘অবৈধ সম্পদ’ গড়ার সংবাদ প্রকাশের প্রতিক্রিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। বিবৃতিতে অবৈধ সম্পদ অর্জনের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!